ধর্ম

নামাজের কেরাতে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়ার নিয়ম

কোরআন তিলাওয়াত শুরু করার সময় ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া সুন্নত, অনেকে ওয়াজিবও বলেছেন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরআন তিলাওয়াতের আগে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِযখন তুমি কোরআন পড়বে তখন আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাও। (সুরা নাহল: ৯৮)

Advertisement

নামাজের কেরাতে যেভাবে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়বেন

একা নামাজ আদায়কারী বা মুনফারিদ এবং ইমামের জন্য ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে কোরআন তিলাওয়াত করা ফরজ। সুরা ফাতেহা তিলাওয়াত করা ওয়াজিব এবং সুরা ফাতেহার পর কোরআনের অন্য জায়গা থেকে কমপক্ষে ছোট তিনটি আয়াত বা বড় একটি আয়াত তিলাওয়াত করা ওয়াজিব।

ইমাম বা একা নামাজ আদায়কারী নামাজের শুধু প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার আগে পড়বে,

Advertisement

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم উচ্চারণ: আউজুবিল্লাহিশ শাইতানির রাজিমঅর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি

এবং পড়বে, بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِউচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমঅর্থ: পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

পরের রাকাতগুলোতে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়বে না। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার আগে শুধু ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়বে।

সুরা ফাতেহার পর সুরা মেলানোর সময় কোনো সুরার শুরু থেকে পড়লে তখনও ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়া মুস্তাহাব। তবে সুরার মাঝ থেকে পড়লে ‘বিসমিল্লাহ’ না পড়লেও চলবে।

Advertisement

নামাজের জামাতে মুক্তাদিরা কেরাত পড়বে কি?

মুক্তাদিরা জামাতে নামাজের ক্ষেত্রে কেরাত পড়বে না, বরং চুপ করে ইমামের কেরাত শুনবে। জামাতে নামাজে ইমামের কেরাতই মুক্তাদিদের কেরাত গণ্য হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন,

مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌযে ইমামের পেছনে নামাজ পড়ছে, ইমামের কেরাতই তার কেরাত। (সুনানে ইবনে মাজা)

ইমাম যখন কোরআন তিলাওয়াত করেন, তখন ইমামের তিলাওয়াত শোনা মুক্তাদিদের ওপর ফরজ হয়ে যায়। কারণ আল্লাহ বলেছেন,

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

যখন কোরআত পড়া হয়, তখন চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শোনো, হয়তো তোমাদের দয়া করা হবে। (সুরা আরাফ: ২০৪)

ওএফএফ/এএসএম