চলচ্চিত্রে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে অনেকদিনে তৈরি করেছেন প্রসূন রহমান। পড়াশোনাও করেছেন চলচ্চিত্র নিয়েই দেশ ও দেশের বাইরে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের সহযোগী হিসেবে।নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু তথ্যচিত্র। নিয়মিত নাটকও লিখছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে গেল বছর নির্মাণ করেছিলেন ‘সুতপার ঠিকানা’ নামের ছবিটি। ছবিটি মুক্তির পর প্রসূন রহমান অর্জন করেন ভূয়সী প্রশংসা। এরপর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘ঢাকা ড্রিম’র কাজ শুরু করেন তিনি। ছবিটি নির্মাণাধীন রয়েছে। নতুন খবর হচ্ছে, `ঢাকা ড্রিম` ছবিটির যাবতীয় আপডেট এবং প্রচার-প্রসারের জন্য সম্প্রতি খোলা হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। নির্মাতা প্রসূন রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা জানিনা আমাদের সব স্বপ্ন ও পরিকল্পনা সফল হবে কিনা। তবু আমরা সকলেই স্বপ্ন দেখি, সকলেই চাই বেঁচে থাকবার সময়টুকু কর্মমূখর হোক, অর্থপূর্ণ হয়ে উঠুক। তাই যার যার অবস্থান, চিন্তা ও দর্শন থেকে আমরা সৃজনশীল নানা কাজের পরিকল্পনা করি। কখনো স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা, কখনো দীর্ঘমেয়াদী। প্রতিকূল অবস্থায়ও আমরা স্বপ্ন দেখি, দেখতে হয়। কারণ, স্বপ্নই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। স্বপ্নই আমাদের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।নির্মাতা আরো জানালেন, ঢাকা ড্রিম’ ছবির এখনো পুরো কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবু এর যাত্রাটি যেহেতু শেষ হওয়ার কথা ট্রিলজি নির্মাণের মাধ্যমে তাই আলাদা করে ‘ঢাকা ড্রিম’ এর ওয়েবসাইট না করে, একবারে ‘ঢাকা ট্রিলজি’র জন্যেই তৈরি করা। এটি আসলে যতোটা না পরিকল্পনার দৃঢ়তার প্রকাশ তার চেয়ে বেশী নিজের দায়বদ্ধতার অঙ্গীকার। সৃজনশীল ও জীবন ঘনিষ্ট কাজে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব প্রকট। তাই প্রতিকূলতার মাঝেও স্বপ্নগুলো থেকে যেন বিচ্যুত না হই। ছোট একটি জেলা শহর থেকে জীবিকার প্রয়োজনে এবং নানামুখী স্বপ্নপূরণে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো কিছু মানুষের গল্প `ঢাকা ড্রিম’। প্রথমবারের মতো ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা কিছু মানুষের ঢাকায় আসবার পেছনের কারণ ও যাত্রার দিনের অন্যরকম এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতার গল্প নিয়েই নির্মিত হচ্ছে ঢাকা ড্রিম ছবিটি। ছবিতে ‘আয়নাল ফকির’ নামে একজন রহস্যময় অন্ধ ভিক্ষুকের চরিত্রে অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু। এছাড়া জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসতে বাধ্য হওয়া আরও কয়েকজন প্রান্তিক মানুষের চরিত্রে থাকবেন- নওশাবা, শাহাদাত, ইকবাল, সজীব, মুনিরা মিঠু। এনই/এএইচ/এমএস
Advertisement