সোশ্যাল মিডিয়া

মহাপরিচালক হিসেবে কাকে চাইছেন কবি-লেখকরা?

বিভিন্ন সময় বাংলা একাডেমি নিয়ে কবি-লেখকদের সরব হতে দেখা যায়। প্রতি বছর ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ নিয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন এবং না-পাওয়াদের পক্ষে আক্ষেপে সরব হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আবার তিন বছর পর পর আলোচনা ওঠে বাংলা একাডেমির ‘মহাপরিচলক’ পদ নিয়ে।

Advertisement

বাংলা একাডেমির গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে তিন বছর পর পর নিয়োগ দেওয়া হয়। যেহেতু চলতি বছরের ১৩ জুলাই শেষ হয়ে যাচ্ছে বর্তমান মহাপরিচালকের দায়িত্বভার; সেহেতু নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে কি না—সে বিষয়ে চলছে আলোচনা। মর্যাদাপূর্ণ এই পদে কবি-লেখকরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকেই দেখতে চাইছেন। সংগত কারণেই তাদের পছন্দের ব্যক্তির নামই উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

তবে মহাপরিচালক হতে যারা আগ্রহী; তারা কিন্তু কোথাও মুখ খুলছেন না। কেউ কেউ ভক্তদের নিবৃত্ত করছেন। অনেকের আগ্রহ থাকলেও চুপিসারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আলোচনায় আসতে চাইছেন না অনেকেই। সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে ‘কে হবেন বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আলোচনাটি চাউর হয়ে যায়।

বিভিন্নজন তাদের টাইমলাইনে পছন্দের ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কবি ও গীতিকার মহসিন আহমেদ লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে একজন কবিই উপযুক্ত। যাদের নাম আলোচনায় তাদের মাঝে কবি নাসির আহমেদকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়।’

Advertisement

কবি ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র লিখেছেন, ‘অতীতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বলছে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নুরুল হুদা থেকে যাবেন। এর আগেও অনেকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেলেও তাদের পদচ্যুত করা হয় নাই।’

একটু রম্য স্টাইলে কবি ও নাট্যকার জাহিদ সোহাগ লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ডিজির চেয়ার সরিয়ে সেখানে ১টি লম্বা বেঞ্চ রাখলে ভালো হয়, যাতে ৬/৭ জন বসতে পারেন; একটা গণতান্ত্রিক দেশে একজন মাত্র ব্যক্তি ডিজি থাকবেন কেন? বরং এই পদটিকে বলা হোক ‘ডিজিস অন দ্যা বেঞ্চ’। প্রত্যেকের মেয়াদকাল ২ বছর; তাহলে আমরা সবাই ডিজি হতে পারব, যেহেতু ওই পদটি অকর্মন্য ও লেখকদের অধিকারভুক্ত। তবে জাতিসত্তার কবি হিসেবে মুহম্মদ নূরুল হুদা আমৃত্যু ডিজি থাকতে পারেন, কিন্তু কবি রুহুল মাহবুবসহ আমরা বেঞ্চে বসলে ২ বছর পার হতে না হতেই ধাক্কাতে শুরু করবেন।’

আরও পড়ুনআলোচনায় যখন বাবা-মাকে দেওয়া রাফসানের গাড়িভক্তদের অন্তরে বেঁচে আছেন হুমায়ুন ফরীদি

কবি ও কথাশিল্পী কবীর হোসেনও ভিন্ন আঙ্গিকে লিখেছেন, ‘আর কবি না, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবার হোক একজন মেজর জেনারেলই। বন্ধুকের নল দিয়েই বের হোক নতুন শব্দ, নতুন বানান রীতি। বড় টায়ার্ড আমরা!’

লেখক ও অনুবাদক রাজু আলাউদ্দিন লিখেছেন, ‘আপনারা কে কাকে দেখতে চান বাংলা একাডেমির পরবর্তী মহাপরিচালক হিসেবে? বাংলা একাডেমির হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে কে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন?’

Advertisement

তাদের এসব পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। নিজের প্রিয় কবি-লেখকের নাম লিখেছেন। সেখানে অনেক নাম উঠে এসেছে। তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের মধ্য থেকে কোনো একজন এই মহান দায়িত্ব পাবেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এসইউ/জেআইএম