জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

Advertisement

রোববার (২ জুন) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০ জেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছি। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এছাড়াও ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেরিবাঁধ, ঘরবাড়ি, ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

Advertisement

আরও পড়ুন:৯ জুন রিমালের সার্বিক ক্ষতি নিরূপণ, দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকেবরিশালে মৎস্য খাতে দেড়শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতিরিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর সাড়ে ৩ লাখ মানুষ

এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ হিসেবে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মহিববুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ হাজার ৫০০ টন চাল, নয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ নগদ টাকা, ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একই ভাবে দিনাজপুর জেলায় নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

আরএমএম/এসএনআর/জেআইএম

Advertisement