হাঁটাহাঁটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শরীর ফিট রাখতে হলে দৈনিক অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কঠিন সব রোগের ঝুঁকি কমানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ভালো রাখা এমনকি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও হাঁটাহাঁটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে জানলে অবাক হবেন, হাঁটাহাঁটি কারও কারও জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে।
Advertisement
কারণ আমাদের শরীরের সব ওজন সহ্য করে দুটো পা। এই পায়ের উপর যত বেশি চাপ পড়ে, তত বেশি ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক বিষয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি বিশেষ রোগে আক্রান্তদের না হাঁটেই ভালো। আর রোগটির নাম অস্টিওআর্থ্রাইটিস অর্থাৎ হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস।
হাঁটাহাঁটি করলে এমন রোগীদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। অস্টিওআর্থ্রাইটিস এমন একটি রোগ যাতে হাঁটুর ভেতরে থাকা তরল কার্টিলেজ ক্ষয়ে যেতে থাকে।
Advertisement
যার ফলে হাড়ের সঙ্গে হাড়ের ঘষা লাগে। এই ঘষা লাগার কারণে হাড় ক্ষয়ে যেতে থাকে। যা তীব্র যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন
ধূমপানে হার্টের যে ক্ষতি হয় দুধ গরম নাকি ঠান্ডা, কোনটি বেশি উপকারী?সম্প্রতি জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার রটারডামের গবেষকরা ৫ হাজার ৩ জনকে নিয়ে এই গবেষণা করেন।
হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস নিয়ে এর মধ্যে ২ হাজার ৮০৪ জন নারীও ছিলেন। যাদের লোয়ার লিম্ব মাসল অর্থাৎ পায়ের পেশির ওজন কম, তাদের বিপদ বেশি।
Advertisement
তারা বেশি ওজনের বইতে গেলে বিপদে পড়তে পারেন। অন্যদিকে যাদের পায়ের পেশির ওজন বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই বিপদ কম বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।
অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের উচিত সুস্থ থাকতে যে ধরনের ব্যায়ামে পায়ে বেশি চাপ পড়ে, সে ব্যায়াম করা উচিত। যেমন ধরুন- সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো।
এছাড়া চিকিৎসকের মতে, পায়ের পেশি শক্ত করার দিকেও নজর দিতে হবে। তার জন্য যোগব্যায়ামও বেশ উপকারী হতে পারে।
সূত্র: এবিপি নিউজ
জেএমএস/এমএস