অর্থনীতি

জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

Advertisement

রোববার (২ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠ থেকে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রয়ের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

টিসিবি কার্ডধারীরা এ সময় সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল, এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হবে। চিনি শুধু ঢাকায় পাওয়া যাবে। প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য পড়ছে ৫৪০ টাকা।

আরও পড়ুন

Advertisement

‘ভাড়াটে’ মানুষ দিয়ে টিসিবির পণ্য ক্রয়, বেশি দামে দোকানে বিক্রি! টিসিবির পণ্যসহ ডিলারকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

জানানো হয়েছে, টিসিবির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল ইকবাল প্রমুখ।

বাণিজ্য সচিব বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে সঠিক মানুষের হাতে এটা পৌঁছে দিতে হবে। মনিটরিং করা হবে। ঈদ মানুষের ভালো যাবে। কিছুটা হলেও তারা সুবিধা পাবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসেই আমরা সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই কর্মযজ্ঞটা অনেক বড়। এই মাসে এটা শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে। ঈদের আগে মানুষের হাতে টিসিবির পণ্যটা যেন পৌঁছে যায় এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। এক কোটি পরিবার যখন এটা পায় তখন বাজারে চিনি, চালসহ এসব পণ্যের ওপর চাপ কমে। ফলে চাহিদা কমে যাবে, বাজারেও চাপ কমে যাবে।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা আর অস্থায়ীভাবে টিসিবির পণ্যগুলো দিতে চাই না। নতুন অর্থবছরে স্থায়ী দোকানে পণ্য দিতে চাই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিসিবির জন্য পৃথক গুদাম করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন শুধু নিম্নবিত্তদের পণ্য দিতে পারছি। আগামীতে মধ্যবিত্তদের টিসিবির পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করবো। এসএম/এমআরএম/এমএস