ময়মনসিংহের নান্দাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত মোরাদ হাসান ভূঁইয়ার (১৮) মরদেহ নিয়ে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
শনিবার (১ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে হাজারো জনতা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে মরদেহ কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি নান্দাইল নরসুন্দা ব্রিজে গেলে মরদেহ সড়কে রেখে সড়ক অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা।
এদিকে মিছিল ও অবরোধের ফলে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। মিছিলে হাজারো জনতা ‘মোরাদ হাসান ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের বিচার’ ও ‘সন্ত্রাসমুক্ত নান্দাইল চাই’ বলে স্লোগানে দিতে থাকেন।
এরআগে চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মোরাদ হাসান ভূঁইয়ার জানাজায় বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহান, এমদাদুল হক ভূঁইয়া ও নাজিম উদ্দিন লিটন।
Advertisement
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোরাদ হাসান ভূঁইয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতারের দাবি করেন৷ অন্যথায় তার পরিবারসহ এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোরাদ তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক ভূইয়ার নির্বাচনী পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করতে পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় যান। এ সময় নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহানের সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সালাম মোরাদ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে লিফলেট বিতরণে বাধা দেন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোরাদ হাসান ভূইয়ার বুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সালাম, এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোরাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরিপুর সার্কেল) সুমন মিয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। আসামিদের আটকে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Advertisement
মরদেহ নিয়ে মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানাজা শেষে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা স্লোগান দিতে দিতে চলে যান। তখন আমাদের কিছু করার ছিল না।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/এমএস