লাইফস্টাইল

ত্বক ও চুলের যত্নে মধু

মধুর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। এই মধুর গুণগুলোর মধ্যে প্রধান একটি গুণ হচ্ছে এটি ত্বক ও চুলের যত্নে বেশ কার্যকর। প্রাকৃতিক উপাদান বলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। রূপসচেতন যে কারো কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান মধু। চলুন জেনে নিই ত্বক ও চুলের যত্নে মধু কতটা উপকারী-মধু নতুন ব্রণ উঠতে বাধা দেয়। তাই যাদের খুব ব্রণের সমস্যা তাদের প্রতিদিন ১ চা চামচ মধু খাওয়ার সাথে সাথে ত্বকে মধু ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখা উচিত।শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু খুব উপকারী। ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ দুধ ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর হয়।বয়স কম দেখাতেও মধুর জুরি নেই। প্রতিদিন ত্বকে মধু লাগালে ত্বক টানটান থাকে।সপ্তাহে ৪ দিন ১ চা চামচ মধু ও টম্যাটোর রস মিশিয়ে মুখে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।মধু দিয়ে চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার বানানো যায়। মধুর সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে ৫-৭ মিনিট লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে চুল উজ্জ্বল হয়।সপ্তাহে ৫ দিন ৩ চা চামচ গোলাপ জল ও ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট শরীরের কালো স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখলে কালো দাগ কমতে থাকে।মধু, দুধ ও দই মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে ত্বকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে বলিরেখা পরবে না ত্বকে। এটি সপ্তাহে ৩ দিন।চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে একটি বাটির ২/৩ অংশ মধু ও ১/৩ অংশ পানি দিয়ে মিশিয়ে এটি চুলের গোড়ায় লাগান ও ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার বাকি মিশ্রণ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন ভালো করে ও ৩ ঘন্টার জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার করবেন।১ চা চামচ কাজুবাদাম গুড়া, ১ চা চামচ চিনি, ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে বৃত্তাকার গতিতে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে ৫-১০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে মুখ মসৃণ হবে। এটি শরীরের যে কোন অংশ মসৃণ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে।গোসলের পানিতে ২ কাপ দুধ, ১/৪ কাপ মধু, ৩ টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। এক্ষেত্রে পানি হাল্কা কুসুম গরম হলে ভালো হয়। মাসে ১ বার করুন এটি।এইচএন/এমএস

Advertisement