দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয়। এটি প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া দুধ থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকি, যা হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া দুধ থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি১২, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। যা পেশিকে মজবুত ও শক্ত করতে সাহায্য করে এবং শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
Advertisement
প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ আমাদের পুষ্টি চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করতে পারে। এক কাপ বা ২৫০ গ্রাম দুধে থাকে- ক্যালোরি- ১৫০ গ্রামকার্বোহাইড্রেট- ১১ গ্রামপ্রোটিন- ৮ গ্রাম চর্বি- ৮ গ্রাম ক্যালসিয়াম- ৩১%ভিটামিন ডিরিবোফ্লাভিন (বি২)ভিটামিন বি১২পটাশিয়াম ৩৭৫ মি.গ্রা.ফসফরাস ম্যাগনেশিয়াম ৬% লৌহ ০.০৮ মি.গ্রা. সোডিয়াম ১০০মি.গ্রা.।
দুধের বিভিন্ন উপকারী দিকের মধ্যে রয়েছে:
হাড় এবং দাঁতের গঠনেদুধ, ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য এবং স্ট্রেস ফ্র্যাকচার কমানোর জন্য অপরিহার্য। ডায়েটে ক্যালসিয়াম পাওয়ার একটি সহজ উপায় হলো দুগ্ধজাত খাবার ও দুধ পান করা এবং পনির, দই এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া।
Advertisement
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়দুধ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিসমৃদ্ধ দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভিটামিন এবং প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, জিংক এবং আরও অনেক কিছুতে পরিপূর্ণ।
হজমে সহায়তা করেক্যালসিয়াম শোষণের জন্য ভিটামিন ডি, বি ভিটামিন যা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে এবং বিপাককে স্থিতিশীল করতে সেলেনিয়ামের মতো হজম সহায়ক দুধে পরিপূর্ণ।
হার্ট ভালো রাখেএকাধিক গবেষণায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাসের সাথে ডায়েটে কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কম চর্বিযুক্ত দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার হার্টকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখেত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে। দুধে থাকা ভিটামিন এ ও জিংক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
Advertisement
গর্ভাবস্থায় সুস্থতা দেয়গর্ভাবস্থায় দুধ পান করলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। এ ছাড়া দুধের ১৩টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টির মধ্যে একটি হলো আয়োডিন, যা গর্ভাবস্থায় এবং শৈশবকালে শিশুর হাড় এবং মস্তিষ্কের বিকাশকে সহায়তা করে।
এসইউ/জেআইএম