বিনোদন

ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যা বললেন নুসরাত

টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান ভারতের গতবারের লোকসভা ভোটে নিজেই ছিলেন প্রার্থী। ভোটে জিতে হয়েছিলেন সাংসদ। তবে এবারে আর ভোটে দাঁড়াননি নুসরাত জাহান। তারকা প্রচারক হিসেবেও তাকে দেখা যায়নি এবার। দেশের আর পাঁচজন নাগরিকের মতোই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন:আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মুখ খুললেন নুসরাত জাহানআমাদের সন্তান হবে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের প্রতীক: নুসরাত

দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে প্রতিবার ভোট দেন নুসরাত জাহান। এবারও যথা সময়ে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান আবদুল ওয়াহিদ মেমোরিয়াল স্কুলে। অভিনেত্রীর পরনে ছিল হ্যান্ডলুমের চুড়িদার। বুথের ভিতরে লাইন দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বসিরহাটের সাবেক এ সংসদ সদস্য।

ভোট দেওয়ার পর সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষজন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আলাদা করে আর কোনো বার্তা দিতে চাই না। তবে হ্যাঁ, ভোট আমাদের অধিকার। তাই একজন নাগরিকের অবশ্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করা উচিত’।

গত লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নুসরাত। রাজনীতির মঞ্চে গ্ল্যামার গার্ল হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। তবে গত পাঁচ বছরে বারংবার তার কেন্দ্রে জমা বিতর্কের আগুনে নুসরাতের ‘ঠান্ডা’ পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনায় জড়ান নুসরাত। এমনকী সন্দেশখালি ইস্যুতেও তারকা সংসদ সদস্যকে সেভাবে পাশে পাননি সেখানকার মানুষ, এমন অভিযোগও উঠেছে।

Advertisement

শুধু রাজনীতির আঙিনা নয়, নুসরাতের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন বিতর্কও হয়তো এবার নেগেটিভ প্রভাব ফেলেছে, এমনই ধারণা করছেন অনেকে।

বিশেষ করে নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ, যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ না হয়েই সন্তানের জন্ম, সব বিতর্কই হয়তো নুসরতের বিপরীতে কাজ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এমএমএফ/জেআইএম

Advertisement