টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে খুব কাছে গিয়েও জেতা হয়নি, হারতে হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে। পাকিস্তানের জন্য আক্ষেপের অবসান ঘটে পরের আসরে গিয়ে। এবার তারা ছোঁয়া পায় বিশ্বকাপের। ফাইনালে তাদের জয়ের নায়ক হয়ে যান শহিদ ‘বুম বুম’ আফ্রিদি।
Advertisement
ওই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিলকারত্নে দিলশান। ফাইনালে মোহাম্মদ আমিরের করা প্রথম ওভারে বিদায় হওয়ার পরও লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক সাঙ্গাকারার অপরাজিত ৬৪ রানের ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে লঙ্কানরা।
যদিও পাকিস্তানের জন্য ওই রানকে খুব বড় লক্ষ্য হতে দেননি শহিদ আফ্রিদি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তিনে পাঠানো হয় আফ্রিদিকে। ২ চার ও সমান ছক্কায় ৪০ বলে ৫৪ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। শ্রীলঙ্কাকে পাকিস্তান হারায় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
এর আগে বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়ছিলেন আফ্রিদি। তাতে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়ে যান তিনি। ৩১৭ রানের করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন তিলকারত্নে দিলশান, তবে তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্সআপ হয়েই।
Advertisement
আরেকদিকে আফ্রিদি হয়ে যান জয়ের নায়ক। হাজারো মানুষ পাকিস্তানে ফেরার পর বরণ করে নেয় তাদের। দেশটি পেয়ে যায় উৎসবের উপলক্ষ। আর আফ্রিদি ও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয় ঢুকে যায় বিশ্বকাপের বিস্ময়ের তালিকায়।
আইএইচএস/