লাইফস্টাইল

দুধ জ্বাল দেওয়ার ভুলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হচ্ছে না তো?

দুধে আছে একাধিক পুষ্টি উপাদান। ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার শরীরের জন্যই উপযোগী এটি। তবে খাওয়ার আগে দুধ জ্বাল দেওয়ার ভুলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই।

Advertisement

বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই প্যাকেটজাত তরল দুধ কিনে খান। আর সেটি ফুটিয়ে নিয়ে তবেই পান করা হয়। অনেকে তো একাধিকবার একই দুধ গরম করে পাস করেন। তবে ঠিক কতবার জ্বাল দেওয়া যায় দুধ? বেশি দুধ গরম করলে কিংবা বারবার জ্বাল দিলে কি সত্যিই এর পুষ্টিগুণ কমে যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোটানো দুধ খাওয়া স্বাস্থ্য়ের জন্য উপকারী। প্যাকেটজাত দুধে অনেক সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা থেকে পেটে সংক্রমণ হতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতেই দুধ ফুটিয়ে নেওয়া উচিত।

তবে যে ধরনের দুধ হোক না কেন, এক থেকে দুইবার জ্বাল দেওয়াই যথেষ্ট। এর থেকে বেশি দুধ জ্বাল দিলে দুধে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে পুষ্টিগুণ কমে যায়। একাধিকবার দুধ জ্বাল দিলে এতে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম নষ্ট হয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন

দৈনিক কতটুকু দুধ পান করা উচিত দুধ খাওয়ার পর যে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলবেন

দুধে উপস্থিত ভিটামিন ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। বারবার দুধ জ্বাল দিলে এই ভিটামিনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে ক্যালশিয়াম শোষণের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে অল্প আঁচে, সামান্য পানি মিশিয়ে এটি ফোটানো উচিত। অনেকের ধারণা, পুরো দুধ একবার ফুটিয়ে রেখে দেওয়া যায় ফ্রিজে। তারপর যতটুকু দরকার সেটুকু বের করে প্রয়োজন মনে করলে জ্বাল দিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতেও কিন্তু পুষ্টিগুণ কমতে পারে।

দুধ জ্বাল দেওয়ার সঠিক উপায় কী?

Advertisement

যতক্ষণ দুধ গরম করবেন, ততক্ষণ একটি কাঠের চামচ দিয়ে দুধ মাঝে মধ্যে নাড়িয়ে যেতে হবে। তাহলে সর পড়বে না। দুধের যাবতীয় উপাদানও ঠিক থাকবে। বেশি আঁচে বা উচ্চ তাপে যে কোনো খাবার রান্না করলেই সেটি পুষ্টি হারায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

দুধের ক্ষেত্রেও এটা ঠিক। প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ঢেলে নিন। বেশি আঁচে কিছুক্ষণ রেখেই আঁচ কমিয়ে দিন। অল্প আঁচে দুধ ফোটানোই ভালেঅ। এরপর কিছুক্ষণ পরপর চামচ দিয়ে দুধ নাড়তে হবে। ফুটতে শুরু করলেই আঁচ বন্ধ করে দিন। তারপর রেখে ঠান্ডা করে পান করুন।

সূত্র: এবিপি নিউজ

জেএমএস/এএসএম