ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
Advertisement
শনিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বছরে দুইবার ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানোর ফলে এর অভাবজনিত অন্ধত্বের হার এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দেশবাসী সবার কাছে আবেদন একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে। যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।
Advertisement
আরও পড়ুন
চিকিৎসার মান আরও উন্নত পর্যায়ে নিতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রীএবার প্রায় দুই কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই আয়োজনে যুক্ত আছেন।
তবে এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১ হাজার ২২৪টি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রদান সম্ভব হবে না। তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরবর্তীতে খুব দ্রুত সময়ে ভিটিমিন এ ক্যাপসুল দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য অধিশাখা) শিব্বির আহমেদ ওসমানী ও নিপসম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল হক।
Advertisement
এএএম/এসআইটি/এমএস