অধিনায়কের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং ব্যাটিং অফ ফর্ম নিয়ে চারদিকে যখন হইচই ও নানান তির্যক কথাবার্তা, তখন জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নাজমুল হোসেন শান্তর পক্ষ নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টর ও আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজনের ধারণা, শান্ত সাহসী ছেলে, চাপে ভোগেন না। তিনি নিশ্চয়ই ওয়ার্ল্ডকাপে ফর্মে ফিরে আসবেন।
Advertisement
কিন্তু দেশের সবসময়ের সবচেয়ে মেধাবী উইলোবাজ ও আরেক সাবেক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আশরাফুল মোটেই তা মানতে নারাজ। আশরাফুলের মত, অধিনায়কত্বের চাপেই রানখরায় ভুগছেন শান্ত।
আশরাফুলের ব্যাখ্যা, শান্তর জন্য ক্যাপ্টেন্সিটা কঠিন হয়ে গেছে, কারণ তিনি পারফর্ম করছেন না। আমাদের এশিয়ায় একটা অঘোষিত রীতি আছে, অধিনায়ককে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার। শান্ত যেহেতু পারফর্ম করছেন না, এখন আরও বেশি কঠিন।
এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও অনেক সরব। ভালো খেলতে না পারলে অনেক সমালোচনা হয়। তাই তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব অবশ্যই শান্তর জন্য অনেক বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
নিজের অধিনায়ক জীবনের প্রসঙ্গ টেনে আশরাফুল বলেন, আমি অধিনায়ক থাকাকালীন যে সমস্যার মধ্যদিয়ে এগিয়েছি এবং যে ভুল করেছি, বর্তমান টাইগার ক্যাপ্টেন শান্তও সেই ভুলটাই করেছেন। আমার বেলায়ও হয়েছে। শান্ত যেহেতু নিজে সেভাবে পারফর্ম করতে পারছেন না সাম্প্রতিক সময়, তাই তিনি অন্য প্লেয়ারদের ব্যাক করছেন এবং ব্যাটসম্যানের সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলছেন। আমরা বেশি ব্যাটার খেলাচ্ছি। কিন্তু একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শেষ পর্যন্ত আপনাকে কিন্তু বোলাররাই ম্যাচ জেতাবে।
অধিনায়ক শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে আশরাফুল একাদশের সম্ভাব্য রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছেন।
আশরাফুলের পরামর্শ হলো, সাকিবসহ ছয় স্পেশালিষ্ট বোলার খেলানো এবং অধিনায়ক শান্তকে দিয়ে ওপেন করানো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ জুন প্রথম ম্যাচে টাইগার একাদশের সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরি করে আশরাফুল বলেন, আমার কাছে মনে হয় আদর্শ কম্বিনেশন হবে সাকিবসহ ছয় বোলার নিয়ে মাঠে নামা। বাঁহাতি সাকিব, অফস্পিনার শেখ মেহেদি এবং লেগস্পিনার রিশাদের সঙ্গে তিন ফাস্ট বোলারই হতে পারে আদর্শ বোলিং কম্বিনেশন। তাসকিন ফিট হলে তাসকিন, সঙ্গে মোস্তাফিজ ও শরিফুল। আর তাসকিন ফিট না থাকলে তানজিম সাকিব।
Advertisement
ওদিকে যেহেতু শান্ত অধিনায়ক, তাই তাকে তো আর বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে আশরাফুল চান শান্তকে দিয়ে ওপেন করাতে।
তার ব্যাখ্যা, লিটন ও সৌম্য দুজনই নিজেকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তাই তানজিদ তামিমের সঙ্গে অধিনায়ক শান্তকে দিয়ে ওপেন করানোর পক্ষে আমি। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইবো সাকিবকে তিন নম্বর পজিসনে খেলানো হোক। সাকিব বিপিএলেও তিন নম্বরে খেলেছেন, হাই স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন এবং অনেক ফ্রি খেলেছেন। তাই সাকিবের জন্য ওয়ানডাউনই বেস্ট জায়গা। এরপর তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর জাকের আলী অনিক। আমি এই ছয় স্পেশালিস্ট ব্যাটার খেলাতে চাই। একাদশে সাত উইলোবাজ রাখতে চাই না। এরপর রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, ফিট থাকলে তাসকিন, মোস্তাফিজ ও শরিফুল থাকবেন দলে।
এআরবি/ইএ