খেলাধুলা

বোলিং নিয়ে কোন সংশয় নেই, যত চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে: আফতাব

তামিম, মুশফিক, সাকিবরা রান করা ও সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোয় তাকে পিছনে ফেললেও মোহাম্মদ আশরাফুলকেই ধরা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাচারাল ট্যালেন্টেড ব্যাটার।

Advertisement

তবে বুক ভরা সাহস, স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল ব্যাটিং এবং ফ্রি স্ট্রোক খেলার সামর্থ্যে আফতাব এখনো অদ্বিতীয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে ড্যাশিং উইলোবাজের তকমাটা বন্দর নগরী চট্টগ্রামের শক্ত সামর্থ্য ব্যাটার আফতাবের শরীরেই।

কিন্তু কেন যেন প্রতিভার যথার্থ স্ফুরণ ঘটেনি। মেধা, যোগ্যতা আর প্রতিভায় যত বড়, অর্জন-প্রাপ্তি আর কৃতিত্বে আফতাব তত ওপরে পৌঁছাতে পারেননি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আফতাব আক্ষেপ আর অনুশোচনার প্রতীক হয়ে আছেন। হয়ত থাকবেন আজীবন।

তারপরও ভক্ত-সমর্থক আর ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে আফতাবের জন্য একটা জায়গা সংরক্ষিত আছে। খেলা ছেড়ে অল্প বয়সে কোচিংয়ে জড়ানো আফতাব হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে প্রায় নীরবে আমেরিকা প্রবাসী হয়েছেন। অন্য আট-দশজন যেভাবে ভাগ্য অন্বেষণে আমেরিকা প্রবাসী হন, সেভাবে নয়। আফতাব যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমিয়েছেন ক্রিকেট কোচিংকে পেশা হিসেবে নিয়েই। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় শিশু, কিশোর ও যুবাদের ক্রিকেট শেখানোই এখন আফতাবের পেশা।

Advertisement

আটালান্টার ‘এমআইএলসি’ ক্রিকেট কোচিং একাডেমির প্রশিক্ষক আফতাব আহমেদ। ভারতীয়দের অর্থায়ন ও পরিচালনায় এ ক্রিকেট কোচিং একাডেমির ৯৯ ভাগই ভারতীয়। অল্প সংখ্যক মধ্যে বাঙালি ও ভিনদেশি রয়েছেন। যাদের মধ্যে আছে কিছু মেক্সিকান শিক্ষার্থীও। ৮ থেকে ২১ বছরের ছেলেদের কোচিং করান আফতাব ।

অনূর্ধ্ব-১২, ১৫, ১৭, ১৯ এভাবেই গ্রুপ করে চলে কোচিং। যেহেতু আফতাব নতুন, তাই কোনো বিশেষ গ্রুপের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব ভার মেলেনি এখনো। আপাতত ব্যাটিং কোচ হিসেবে সব গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছেন। স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা অবধী প্রশিক্ষণের কাজে সময কাটে আফতাবের।

দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও দেশের ক্রিকেট, ক্রিকেটারদের খোঁজ-খবর রাখেন আফতাব। কোচিং করানোর ফাঁকে ফাঁকে টিভির পর্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দেখেছেন। শান্ত বাহিনীর পারফরমেন্স দেখে হতাশ এ সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার।

জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন একান্ত আলাপে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান উইলোবাজের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে টাইগারদের বিশ্বকাপ নিয়ে হতাশার চিত্রও। আসুন শোনা যাক সেই কথোপকোথন-

Advertisement

জাগো নিউজ: দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে সুদুর অমেরিকায় এসে কর্ম-ব্যস্ততার মাঝেও দেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখতে পারেন?

আফতাব: ওভারঅল চিন্তা করলে নিয়মিত ও সব খুটিনাটি খোঁজখবর রাখা একটু ডিফিকাল্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তিন ম্যাচের সিরিজটা আমি দেখেছি। এখানে যেহেতু আমি ক্রিকেটের সাথেই আছি, সিরিজটা দেখা হয়েছে।

জাগো নিউজ: আপনিতো আটলান্টায়। খেলা হয়েছে হিউস্টনে। কি করে দেখলেন? গিয়েছিলেন দেখতে?

আফতাব: না, না। আমি আটলান্টায় থেকেই দেখেছি। যেহেতু আমি একাডেমিতে কোচিং করাই এবং আমার কাজের সময়টাতেই খেলা ছিল। আমি টিভিতে দেখেছি। আমি যে ইনডোরে কোচিং করাই সেখানে টিভি আছে। আমি বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রর তিন ম্যাচের সিরিজটি টিভিতে দেখেছি।

জাগো নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সিরিজ দেখে কেমন লাগলো?

আফতাব: প্রথম দুটি ম্যাচ দেখে খুব খারাপ লেগেছে। চরম হতাশ হয়েছি। বারবার একটা কথা মনে হয়েছে, আমরা টেস্ট খেলি ২ যুগ। আর ওয়ানডে চর্চা তারও অন্তত এক যুগেরও বেশি সময় আগে থেকে। সব মিলে ৩ যুগের বেশি সময় ধরে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। অথচ এবার এসে যুক্তরাষ্ট্রের মত আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশের কাছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ হারলাম। এর চেয়ে কষ্টের, দুঃখের, হতাশার, গ্লানির ও ব্যর্থতার কি হতে পারে?

জাগো নিউজ: আপনি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র থাকেন। এখানকার ক্রিকেটের খুটিনাটি খোঁজ-খবর আপনার ভাল জানা। তারপরও আপনার ওই সিরিজ নিয়ে প্রত্যাশা কি ছিল?

আফতাব: দেখেন আমি জানি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট সম্পর্কে। এখানে অনেক অভিবাসী আছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান, ভারতীয়, পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত অনেকে আছেন। তাদের মান খুব খারাপ না। বেসিক, টেকনিক মন্দ না; কিন্তু তারপরও আমাদের জাতীয় দলের সাথে তুলনায়ই চলে না।

আমাদের দেশে ক্রিকেটের প্রচার, প্রসার, জনপ্রিয়তা, চর্চা আর জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত অংশগ্রহণ সবই অনেক বেশি। এরা আমাদের ক্রিকেটারদের মত শতভাগ পেশাদার নয়। সবাই জীবন-জীবিকার সন্ধানে ব্যস্ত। তারা পুরো সপ্তাহ ক্রিকেট খেলতে পারে না। আমাদের মত সারা বছর ধরে ক্রিকেট খেলা, প্র্যাকটিসের কোনোই সুযোগ নেই ওদের। কাজের অবসরে সাপ্তাহিক ছুটির মাত্র ২দিন ক্রিকেট খেলে। যেটাকে উইকেন্ড ক্রিকেট বলে। সেই দলের কাছে হার মেনে নেয়া যায় না। খুব খারাপ লেগেছে।

জাগো নিউজ: সিরিজটি দেখে বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেট সম্পর্কে আসলে কি মনে হয়েছে?

আফতাব: আমি অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম। আমার ক্যারিয়ারের প্রথম ও মাঝামাঝি সময়ে আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যেতাম, ওরা তখন আমাদের বলে কয়ে হারাতো। ধরেন স্কোর লাইন থাকতো অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড , নিউজিল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০০ বা তার বেশি। আর আমরা দেড়শোর আশাপাশে বা বড়জোর ২০০ করতাম। ওরা অনায়াস জয় পেত।

আমি মনে করি আমেরিকার মত দলের সাথে এখন আমাদের স্বচ্ছন্দে, অনায়াসে এমন বড় ব্যবধানে জেতা উচিৎ। আর আমরা তার পরিবর্তে প্রথম ২ ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করলাম। এটা চরম হতাশার। আমাদের এখন এমন হওয়া উচিৎ, ওদের টি-টোয়েন্টিতে ২০০ টার্গেট দিব, ওরা ৭০-৮০‘তে অলআউট হবে। আমরা অন্তত ১০০ রানে জিতবো এমন প্রত্যাশা ছিল।

প্রকৃত আমেরিকানরা কিন্তু ক্রিকেট তেমন বোঝে না। আপনি জন্মসূত্রে বা জাতিগতভাবে যারা আমেরিকান, তাদের শতকরা ৫ জনকেও পাবেন না যারা ক্রিকেটে উৎসাহী। ক্রিকেট তেমন বোঝেও না। তারা ‘সকার’, রাগবি, বাস্কেটবল, বেসবল নিয়ে অনেক উৎসাহী। এসব দেশে যদি এমন ফল হয় সেটা মেনে নেয়া কঠিন।

জাগো নিউজ: আমেরিকার পরিবেশ, আবহাওয়া, উইকেটের সাথে খাপ খাওয়াতে কী কোন সমস্যা হতে পারে?

আফতাব: আমার মনে হয় না। যেহেতু দীর্ঘ দূরত্বের কারণে সময়ের ব্যবধান অনেক। প্রায় ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা। তাই ঘুমে সমস্যা হতে পারে। আমার মনে হয় ঘুমের সময়ের অ্যাডজাস্টমেন্টটাই প্রবলমে হতে পারে। আমি যখন প্রথম আমেরিকা এসেছি, তখন আমারও ঘুমে সমস্যা হতো। আমিতো ‘জেট লক’ ছাড়া অন্য কোন সমস্যা হওয়ার কারণ খুঁজে পাই না।

জাগো নিউজ: তাহলে যুক্তরাষ্ট্রর সাথে সিরিজটি কী পুরোই হতাশার, কোনই প্রাপ্তি বা ইতিবাচক কিছু নেই?

আফতাব: নাহ, তা বলবো না। পরে দারুন কামব্যাক করেছে আমাদের জাতীয় দল। আশা করি বিশ্বকাপে সেটাই ধরে রাখবে এবং শেষ ম্যাচের পারফরমেন্সটা যাতে বিশ্বকাপে থাকে সেটাই প্রত্যাশা। এটা অস্বীকার করা যাবেনা যে, মোরাল ডাউন হইছে। তবে লাস্ট ম্যাচে ১০ উইকেটের জয়ে ভেতরে ভিন্ন অনুভূতিও জাগতে পারে।

ক্রিকেটাররা এই ভেবে অনুপ্রাণিত হতে পারে, ভেতরে সাহস ও আত্মবিশ্বাস জন্মাতে পারে যে, কোন কারণে আমরা প্রথম ২ ম্যাচ হেরেছি। শেষ ম্যাচটা আমেরিকানদের ১০০’র আশপাশে (১০৪) রানে বেঁধে ফেলে ১০ উইকেটে জিতে গেছি। এটাই আমাদের সত্যিকার পারফরমেন্স এবং এটাই আমাদের প্রকৃত স্ট্যান্ডার্ড। তা ভেবে ও ধরে খেললে আশাকরি সাহস ও উদ্যম ফিরে আসবে।

জাগো নিউজ: বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ আমেরিকায়, ডালাস ও নিউইয়র্কে। দুটিই দেখবেন?

আফতাব: নাহ! নিউইয়র্কের ম্যাচটা হয়ত মাঠে গিয়ে দেখতে পারবো না। তবে ডালাসের ম্যাচটি আশা করি মাঠে গিয়ে দেখবো।

জাগো নিউজ: খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের কারো সাথে কথা হয়েছে?

আফতাব: নাহ! খেলোয়াড়দের কারো সাথে এখনো কথা হয়নি। ম্যানেজারের সাথে কথা হয়েছে মুঠোফোনে। তবে আশা করছি ক্রিকেটার ও আর সবার সাথেই যোগাযোগ করবো। কথা বলবো। সে আশায় তাই ডালাসের ম্যাচের আগের দিন যাব ভাবছি। ডালাসে গেলে আশা করছি সবার সাথে দেখা হবে। কথা হবে। সবাইকে গুডলাক দিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ এবং আমার আশা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে আমাদের জাতীয় দল। সবাই কামব্যাক করবে। ইনশাল্লাহ মাঠে যার যার বেস্টটাই দেবে।

জাগো নিউজ: আমেরিকার সাথে খেলা দেখার পর আপনার কাছে দলের কোথায় ঘাটতি ও দুর্বলতা চোখে পড়লো?

আফতাব: দেখেন আমার মনে হয়েছে, প্রথম ও প্রধান দূর্বলতা হলো টপ অর্ডার ব্যাটিং। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে সব দল হাত খুলে পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর প্রাণপন চেষ্টা করে। সেখানে আমাদের যারা ওপেনার ও টপ অর্ডার আছে, তারা নিজেদের হারানো ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কোন জায়গায় নিজেকে হারিয়ে খোঁজার সুযোগ নেই।

এই ফরম্যাটটা হলো ‘সাডেন ডেথের’ মত। সব বল মারতে হবে। হারানো ফর্ম ফিরে পাওয়ার জায়গা এটা না। প্রথম থেকে এসেই আপনাকে মেরে খেলার মানসিকতায় নামতে হবে। সেখানে আপনি যদি মেরে খেলতে চান তাহলে আপনার কনিফেডেন্সটা অনেক হাই থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাস ও আস্থা পুরোপুরি থাকলেই আপনি উইকেটে গিয়ে সাহস নিয়ে হিট করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের মনে হয় আমাদের ওপরের দিকের ব্যাটারদের সেই মানসিকতার যথেষ্ঠ অভাব।

কারণ তারা নিজের ফর্ম ফিরে পেতে ব্যস্ত। তার বা তাদের পক্ষে আর যাই হোক পাওয়ার প্লে’তে হিট করে খেলা সম্ভব না। কাজেই আমাদের শুরুই হয়, হচ্ছে নিজেদের হারানো ফর্ম ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম দিয়ে। এতে করে সাবলীল সূচনার সম্ভাবনা যাচ্ছে কমে। তার নেতিবাচক প্রভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাটিং।

জাগো নিউজ: এই দলের বিশ্বকাপে কতদূর যাওয়ার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন?

আফতাব: অ্যাজ এ বাঙালি, আমি গুড লাক দিতে পারি। আমার দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রতি আমার সমর্থন ও শুভ কামনা। কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তি ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে আমি আমাদের দল নিয়ে তেমন আশাবাদী না।

আবারও বলছি, আমাদের ক্রিকেটারদের একটা অংশ নিজেরদের হারানো ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে। যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যায় না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেকে হারিয়ে খোঁজার জায়গা না। টি-টোয়েন্টি হলো ডেলিভার করার ক্ষেত্র। এটা বেশ ডিফিকাল্ট। শুধু টপ অর্ডার নয়, মিডল অর্ডারের অবস্থাও কিন্তু খুব ভাল না। ৬-৭ নম্বরেও খুব স্টাবলিস্ট কাউকে পাইনি যে ৩০ বলে ৬০ রান করে ম্যাচ জেতাবে।

জাগো নিউজ: তাহলে কি ধরে নেব, এই দল নিয়ে আপনি আশাবাদী নন? এই দল কি দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবে?

আফতাব: আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেন না। দক্ষিন আফ্রিকা আর শ্রীলঙ্কাতো আছেই, নেদারল্যান্ডস এমনকি নেপালও উঠে এসেছে। কেউ ছেড়ে কথা বলবে না। সেকেন্ড রাউন্ড খেলা টাফ। তারপরও ক্রিকেটাররা যদি মাঠে জায়গামত ভাল খেলতে পারে , তাহলে সেরা আটে খেলা অসম্ভব না।

জাগো নিউজ: ব্যাটিং নিয়ে আপনার হতাশা ও আক্ষেপ ও অতৃপ্তির কথা জানালেন, বোলিং নিয়ে তো কিছু বললেন না?

আফতাব: বোলিং নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমার মনে হয় বেশ ভাল ও ধারালো বোলিং আমাদের। সাকিব, তাসকিন আর মোস্তাফিজের মত বোলার আছে। যারা বেশ ভাল মানের বোলার। সাথে যারা মাঝখানে বোলিং করছে, আমি দেখেছি তারাও খারাপ না। আমার বিশ্বাস আমাদের বোলাররা হয়ত নাগালের ভেতরই প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পারবে।

বোলিংয়ের ওপর আমার আস্থা আছে বেশ। বিশ্বাস করি, আমাদের বোলাররা অনেক প্রতিষ্ঠিত দলকেও দেড়শোর মধ্যে আটকে রাখতে পারবে। কিন্তু ভয় হলো আমাদের ব্যাটাররা কি সেই রান টপকে যেতে পারবে? আমার যত চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে। আগে ব্যাট করলেও আমরা কি ১৭০-১৮০ বা তার বেশি পুঁজি গড়তে পারবো? ১৪০’র আশপাশে স্কোর গড়লে কিন্তু আর বোলারদের কিছু করার থাকবে না। মোটকথা বোলারদের লড়ার মত পুজিটা গড়ে দিতে হবে বোলারদের।

এআরবি/আইএইচএস