রাজনীতি

জনগণ হচ্ছে সরকারের কাছে পাইলট প্রজেক্ট: রিজভী

জনগণ হচ্ছে সরকারের পাইলট প্রজেক্ট এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ যাতে কষ্ট পায় সে জন্য জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করলেন শেখ হাসিনা। তারা মনে করছে, জনগণের রক্ত শোষণ করে এই প্রজেক্টটা এমন করবে যাতে বিশ্বের সব স্বৈরাচারদের কাছে দৃষ্টান্ত হয় এই সরকার।

Advertisement

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে পানির ১০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

পানি-বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য অযৌক্তিক ভাবে বার বার বৃদ্ধি ও বগুড়ায় তারেক রহমানের ‘ম্যুরাল’ ভাঙার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।

সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জীবনের অপর নাম পানি, যারা এই পানি কেড়ে নেয়। তারা তো ইয়াজিদের মতো। ইয়াজিদ যেমন ইমাম বাহিনীর পানি কেড়ে নিয়েছিল ফোরাত নদী অবরোধ করে। সে জন্য আওয়ামী লীগকে ইয়াজিদের সঙ্গে তুলনা করা যায়। ইমাম বাহিনীর অনেক শিশু পানির তৃষ্ণায় মারা গেছে, শেখ হাসিনা তো সেটাই করছেন জনগণের সঙ্গে। ওয়াসা এমডির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি তো খুব শক্তিশালী, বিদেশ থেকে অফিস পরিচালনা করেন। অনেক দুর্নীতি অভিযোগ থাকার পর তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়, এতেই বোঝা যায় সরকার প্রধান কেন এই ধরনের লোকদের নিয়োগ করে। এরা সরকারের পারপার্স সার্ভ করে। সরকারের যে অশুভ উদ্দেশ্য সেগুলো তারা পালন করে। এ কারণে তারা পানির দাম বৃদ্ধি করেছে।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আপনার তো কষ্ট হয় না। কারণ আপনি বাড়ি গেলে সামনে পুলিশের হুইসেল বাজে। আর সাধারণ যারা যাত্রী, আনন্দ করতে ঈদ পালন করতে যায় কষ্ট করে সে খবর কি রাখেন আপনি। জনগণের সঙ্গে ব্যঙ্গ করছেন আপনি।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে পুরস্কার হিসেবে বেনজীরকে এসপি থেকে পুলিশ কমিশনার, পুলিশ কমিশনার থেকে আইজিপি এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সরকার দমন নিপীড়নের জন্য তাদেরকে পুরস্কৃত করেছে। তারা এদের অপকর্ম দেখেও না দেখার ভান করছে। কারণ সরকার প্রধান তো অবৈধ। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য তার হয়ে এই বেনজীর, আজিজরা নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছে।

এই সরকারকে সিন্ডিকেট বান্ধব, মাফিয়া বান্ধব বলে অভিভূত করে রিজভী বলেন, প্রত্যেকটি অপকর্মের দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। একদিন জনগণের আদালতে এদের প্রত্যেকের বিচার হবে। জনগণ বিচারক হয়ে এদের অপকর্মের বিচার করবে।

রিজভী বলেন, সভ্য মানুষ আওয়ামী লীগ করে না। আওয়ামী লীগের নেতাদের জনপ্রতিনিধি হতে ভোট লাগে না। শেখ হাসিনা যাকে চাইবেন তিনি নির্বাচিত হন। সোনা চোরাচালানকারীরা, মাদক সম্রাটরা এমপি হয় কি করে! এটাই সরকারের বহিঃপ্রকাশ।

Advertisement

এ সময় রিজভী বগুড়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্বোধনকৃত ম্যুরাল ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, নিবার্হী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

কেএইচ/এসএনআর/জিকেএস