দেশজুড়ে

চেয়ারম্যান বাবার এক ছেলে এমপি, অন্যজন উপজেলা চেয়ারম্যান

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য মামুনুর রশিদ (আনারস)।

Advertisement

মামুনুর কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই। তার বাবা নুরুল ইসলাম উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের চেয়ারম্যান।

নির্বাচনে মামুনুরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের স্ত্রী শাহিদা আক্তার ও মেয়ে খাদিজা বিনতে রোশন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে দেবীদ্বারের বরকামতা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের বাবা নুরুল ইসলাম। ২০১৬ সালের আগস্টে তিনি বরকামতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০২২ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান হন নুরুল ইসলাম। ২০২১ সালে দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।

Advertisement

২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র ভাবে সংসদ নির্বাচন করে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন। বুধবার (২৯ মে) মামুনুর রশিদ দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে এমপি দ্বিতীয় ও চেয়ারম্যান তৃতীয়। ছেলেরা বড় হওয়ার আগেই আমি মেম্বার হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। তারা দুজনই রাজনীতি করে। মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এর ফল হিসেবে উপজেলাবাসী তাদের ভালোবাসা দিয়েছেন। উপজেলাবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্যাতিত ও বঞ্চিত দেবিদ্বারবাসীর পক্ষে দাঁড়িয়েছে আমাদের পরিবার। আমরা আগ থেকেই দেবিদ্বারের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। উপজেলাবাসী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন ব্যালটের মাধ্যমে। এখন আরও বেশি করে মানুষের সেবা করতে পারবো।’

Advertisement

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, সবার মতামত নিয়ে দেবীদ্বারকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। মানুষের কল্যাণে আমাকে উৎসর্গ করলাম।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম