লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন ১৩ বছর আগে। ২০১১ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬, ২০১৩ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ও ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলার গোলরক্ষক সুজন হোসেন জাতীয় দলে খেলার যে স্বপ্ন দেখছিলেন, সেই স্বপ্নযাত্রাটা হলো বেশ লম্বা। দীর্ঘ ৯ বছর পর স্বপ্ন আর বাস্তবতার কাছাকাছি চলে এসেছেন মোহামেডানের এই গোলরক্ষক।
Advertisement
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পের ডাক পেয়েছেন সাদাকালোদের তিনটি রানার্সআপ ট্রফি জেতানোর অন্যতম এ নায়ক। জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েই তিনি নতুন মৌসুম নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। বললেন মোহামেডানে থেকে যাওয়ার কথা।
জাগো নিউজ: অভিনন্দন। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জেতা আনিসুর রহমান জিকোকে বাদ দিয়ে জাতীয় দলের প্রাথমিক তালিকায় আপনাকে রেখেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। কেমন লাগছে?সুজন হোসেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এটা আমার জন্য অবশ্যই দারুণ একটা খবর। জাতীয় দলের স্বপ্ন নিয়েই তো ফুটবল খেলে আসছি। এখন আমি স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি।
জাগো নিউজ: এবার মোহামেডান তিনটি রানার্সআপ ট্রফি জিতেছে। এর পেছনে আপনার অনেক অবদান। কতদিন ধরে খেলছেন এই ক্লাবে?সুজন হোসেন: আমি ২০১৫ সালে একবার মোহামেডানে খেলে চলে গিয়েছিলাম শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। ২০১৯ সালে আবার ফিরে এসে এখন পর্যন্ত আছি মোহামেডানে।
Advertisement
জাগো নিউজ: নতুন মৌসুম নিয়ে কী ভাবছেন? শুনছি কয়েকজন মোহামেডান ছেড়ে আবাহনীতে যোগ দিচ্ছেন। আপনি কী করবেন?সুজন হোসেন: কে কোথায় যাচ্ছেন, তা আমি জানি না। তবে আমি মোহামেডানেই থাকছি। এটা নিশ্চিত করেই বলছি।
জাগো নিউজ: জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন, কখন কার কাছে জেনেছেন?সুজন হোসেন: আমি ক্লাবেই ছিলাম। আসরের নামাজ পড়তে যাবো। এমন সময় আমারই সতীর্থ মুরাদ কথাটি জানায়।
জাগো নিউজ: খবর পাওয়ার পর প্রথম কাকে জানিয়েছিলেন খুশির কথাটি? সুজন হোসেন: প্রথমে বাবা-মাকে জানানোর চেষ্টা করি। না পেয়ে স্ত্রীকে বলি। সবাই অনেক খুশি হয়েছেন।
জাগো নিউজ: আপনার পরিবারের অন্য কেউ খেলাধুলা করেন? সুজন হোসেন: আমরা তিন ভাই এক বোন। বোন সবার বড়। আমরা তিন ভাই-ই ফুটবল খেলি। আবাহনীর গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন আমার ছোট ভাই। সে আমার আড়াই বছরের ছোট। সবচেয়ে ছোট মেহেদী হোসেন খেলছে দ্বিতীয় বিভাগের দল দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবে। আমরা বাবা-মাকে নিয়ে সবাই একসাথে পল্টনে থাকি।
Advertisement
জাগো নিউজ: এখন আপনার লক্ষ্য কী?সুজন হোসেন: প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছি। এখন চূড়ান্ত দলে টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করবো। তারপর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে ভালো করতে পরিশ্রম করবো। সুযোগ পেয়েছি, সেটা কাজে লাগানোই আমার লক্ষ্য।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।সুজন হোসেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/এমএমআর/জিকেএস