জাতীয়

কলকাতা থেকে ফিরে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধারে এখনো আশাবাদী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

Advertisement

একই সঙ্গে কলকাতায় এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের কাছ থেকে অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছেন বলেও জানান ডিবিপ্রধান। তিনি বলেন, ‘গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে বুধবার প্রায় দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে। তার কাছ থেকেও তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। তদন্ত কার্যক্রমে সেসব তথ্য কাজে লাগানো হবে।’

চারদিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতারণের পর তিনি এসব কথা বলেন। গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।

কলকাতায় তদন্ত কার্যক্রম সফল হয়েছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘অবশ্যই সফল হয়েছে। আমাদের কথায় কলকাতার পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের মাংস উদ্ধার করেছে। তবে ফরেনসিক টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে মাংসের টুকরা কার।’

Advertisement

আরও পড়ুন

সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার  নিউটাউনে যেভাবে সন্ধান মেলে আনোয়ারুল আজীমের 

এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘এ ব্যপারে আমি আশাবাদী।’

এমপি আনারের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কলকাতার পুলিশ অত্যন্ত পরিশ্রম করছে। আশা করি উদ্ধার হতে পারে।’

এ হত্যাকাণ্ডে শুধু আক্তারুজ্জামান শাহীন নন, বড় বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক তথ্য দিচ্ছে। আমরাও অনেক তথ্য পাচ্ছি। যেহেতু মামলার তদন্ত চলছে, এ জন্য স্পেসিফিক বলা যাচ্ছে না।’

Advertisement

ফরেনসিক টেস্টের জন্য এমপি আনারের মরদেহের (যে মাংস উদ্ধার হয়েছে) কোনো আলামত দেশে আনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ ফরেনসিক টেস্ট করবে।’

গত ২৬ মে সকালে কলকাতায় যায় ডিবির প্রতিনিধিদল। টানা চারদিন ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা দেশে ফেরেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে দলে আরও দুই সদস্য ছিলেন। তারা হলেন- ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।

টিটি/কেএসআর/জিকেএস