সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে স্বদেশি ধনকুবের ইলন মাস্ককে হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা করতে পারেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন। বুধবার (২৯ মে) প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
Advertisement
খবরে বলা হয়েছে, উভয় ধনকুবের মাস্কের এমন একটি ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা টেসলা সিইও’কে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক নীতিগুলোর ওপর আনুষ্ঠানিক প্রভাব বিস্তারের অনুমতি দেবে। এই ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ইলন মাস্ক নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচুর কথা বলেন।
আরও পড়ুন>>
আমি নির্বাচিত না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের ট্রুডো চান না ফের ক্ষমতায় আসুক ট্রাম্প ট্রাম্প নন, হোয়াইট হাউজে ফের বাইডেনকে চান পুতিনউল্লেখ্য, ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের মধ্যে অতীতে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ উন্নতি হয়েছে। তারা প্রতি মাসে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেন বলে শোনা যায়।
Advertisement
এছাড়া, ইলন মাস্ক এবং বিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারী নেলসন পেল্টজ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পুনর্নির্বাচনের প্রচারণায় সমর্থন না করতে অভিজাতদের উৎসাহিত করার একটি পরিকল্পনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রায়ান হিউজ সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামালে কে কী ভূমিকা পালন করবেন, তা তিনিই নির্ধারণ করবেন। তবে এটি ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং বিভিন্ন উপায়ে দেখানো হয়েছে যে, দেশের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আমাদের অর্থনীতি পরিচালনা করতে বাইডেনের ব্যর্থতার কারণে তাদের শিল্পের ক্ষতি এবং সরকারি আমলাতন্ত্র ও অব্যাহত নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন>>
চীনা গাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ, সমর্থন করেন না ইলন মাস্ক স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চান ইলন মাস্ক আসছে ইলন মাস্কের বায়োপিকসাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক বিষয়ে বেশ সোচ্চার হয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আইনের সমালোচনা করেছেন এবং দাবি করেছেন, এগুলো ‘ওক মাইন্ড ভাইরাস’-এর সৃষ্টি। বাকস্বাধীনতার দমনকে উৎসাহিত করে এমন কাজ বা ধারণায় বিশেষ জোর দেওয়াকে ‘ওক মাইন্ড ভাইরাস’ বলা হয়ে থাকে। এই শব্দটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বহুবার ব্যবহার করেছেন মাস্ক।
Advertisement
এছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশের অভিযোগ তুলে তিনি বাইডেন প্রশাসনের সীমান্ত সুরক্ষা নীতিরও সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন>>
অবৈধ অভিবাসীদের ‘পশু’ বললেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত খারাপ করছে অবৈধ অভিবাসীরা: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের কারণে কি সত্যিই অপরাধ বাড়ছে?এ অবস্থায় নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, গত মার্চ মাসে ফ্লোরিডার পাম বিচে অজ্ঞাত ধনী রিপাবলিকান দাতাদের পাশাপাশি ইলন মাস্কও ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই বৈঠকের বিষয়বস্তু কী ছিল তা পরিষ্কার নয়। তবে বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানে ট্রাম্পের অর্থদাতাদের খোঁজেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
যদিও ইলন মাস্ক ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, তিনি কখনো মার-এ-লাগোতে (পাম বিচে ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাড়ি) যাননি।
কিন্তু সিএনবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি জানেন না, মাস্ক তাকে সমর্থন করবেন কি না।
ট্রাম্প বলেন, আমি বছরের পর বছর তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলাম। আমি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন তাকে সাহায্য করেছি। আমি তাকে পছন্দ করেছি। স্পষ্টতই বৈদ্যুতিক গাড়ি নামক ছোটখাটো একটি বিষয়ে আমাদের মতবিরোধ ছিল।
অবশ্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী গত ৬ মার্চ এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি কোনো প্রার্থীকেই অর্থদান করবেন না।
সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/