নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজুর লোকজনের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
বুধবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সোনাপুর কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. শাহ আজিজসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি পাঁচ জনের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
Advertisement
মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আলম সিদ্দিকী রাজু বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষ হলে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে ফলাফলের কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যেতে চাইলে আমার কর্মীরা বাধা দেয়। পরে পুলিশ ও আনারস প্রতীকের লোকজন গুলি করে। এতে আমার পাঁচজন কর্মী আহত হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
মো. শাহ আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করার পর গণনা শেষে ফেরার পথে মোটরসাইকেল প্রতীকের ৬০-৭০ জন সমর্থক অতর্কিত হামলা চালান। আমি সরকারি মালামাল রক্ষার স্বার্থে কনস্টেবল মো. জাকির হোসেনকে গুলির নির্দেশ প্রদান করি। তিনি চার রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়েন। এতে চার-পাঁচজন হামলাকারী আহত হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, নির্বাচনী সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর অতর্কিতে হামলার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম