আন্তর্জাতিক

সরকার টাকা পাঠায়, তৃণমূল খেয়ে ফেলে

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠায়। কিন্তু সেই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা খেয়ে ফেলেন। তৃণমূলের সবাই সবখানে শুধু কাটমানি চায়। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে নিজের শেষ জনসভা থেকে এমনই অভিযোগ করলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে বুধবার (২৯ মে) মথুরাপুর, ডায়মন্ড হাবরা এবং জয়নগরের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে কাকদ্বীপে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য সদস্যদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন>>

গরমের মধ্যেও ছুটে বেড়াচ্ছেন মোদী, রোজ করছেন ৪ জনসভা গাড়ি-বাড়ি নেই মোদীর, আরও যা যা উল্লেখ করলেন হলফনামায় নজরুলগীতি শেয়ার করে বাঙালির মন জেতার চেষ্টা মোদীর

মোদী বলেন, বিজেপির প্রতি পশ্চিমবঙ্গের লোকদের ভালোবাসা তৃণমূলের সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য ভয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে গেছে তারা। কী সব বলছে! তৃণমূলের হাতে একটাই হাতিয়ার অবশিষ্ট রয়েছে, ‘এটি হতে দেবো না’। আমরা উন্নয়নের জন্য যে কাজ করি, তৃণমূল বলে, এটি হতে দেবো না। আমরা নারীদের নিরাপত্তার হেল্পলাইন বানিয়েছি; তৃণমূল কংগ্রেস বলে, এটি হতে দেবো না। তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান যোজনা কার্যকর হতে দিচ্ছে না। তারা বলছে, এটি হতে দেবো না।

Advertisement

তৃণমূলের নেতা-কর্মী সবাই কাটমানি নেয় অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা বলেন, এই এলাকায় নদীভাঙন রুখতে আমাদের সরকার টাকা পাঠায়। সেই টাকা তৃণমূল খেয়ে ফেলে। এদের একটাই এজেন্ডা, এদের সব জায়গায় কাটমানি চাই। গরিবের রেশনে, পিএম আবাসে, এমনকি বাচ্চাদের মিড ডে মিলেও কাটমানি চাই।

আরও পড়ুন>>

 নরেন্দ্র মোদীর পর বিজেপির নেতৃত্বে কে? নির্বাচনের আগে কেন সিএএ কার্যকর করলো মোদী সরকার? ষষ্ঠ দফার ভোটেও পশ্চিমবঙ্গে তুমুল সহিংসতা

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, এই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এটিই আমার শেষ সভা। এরপর উড়িষ্যা, পাঞ্জাবে চলে যাবো।

বিজেপির শাসনামলে ভারতের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ১০ বছরের উন্নয়ন এবং ১০ বছরের দুর্দশা দেখেছে। ভারত অনাহারে ছিল। যে দেশ আমাদের থেকে ছোট ছিল, তারা কোথায় পৌঁছে গেছে। আমাদের কাছে যুব সম্প্রদায়ের এবং এত বুদ্ধিমতা থাকা সত্ত্বেও দেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সারা বিশ্বে ভারতের গুণগান হচ্ছে।

Advertisement

ডিডি/কেএএ/