অভিনেত্রী সীমানার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তিনি আট দিন ধরে এমন অবস্থায় রয়েছেন। ক্রমেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। এ অভিনেত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর সার্জারি করা হয়। এরপর থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে সীমানার কিডনি সমস্যা এর মধ্যে জটিল আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিত্তিতে কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হবে- এমনটাই জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা আহসান হাবীব নাসিম।
এ প্রসঙ্গে আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আজ সকালেই সীমানার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু শেখ মুজিব মেডিকেলে আপাতত আইসিইউ খালি নেই। সেখানকার চিকিৎসকেরা নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলবে। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি বুঝে তাকে স্থানান্তর করা হবে।’
অভিনেত্রী সীমানা আট দিন ধরে চিকিৎসাধীন। গতকাল (২৮ মে) চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদের আর করার কিছু নেই। আজ সকালেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে। তবে আইসিইউ খালি হওয়া সাপেক্ষে স্থানান্তর করা হবে সীমানাকে।
Advertisement
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি নাসিম আরও বলেন, ‘সীমানার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নতুন করে কিডনির জটিলতা ধরা পরেছে। দ্রুততম সময়ে ডায়ালাইসিস করাতে হবে। এটা কীভাবে করা যাবে, সেটা নিয়েই চিন্তিত সবাই। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। অভিনয় শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজের যাত্রা করেন সীমানা। তিনি ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এরপর নাটকেও তাকে নিয়মিত কাজ করতে দেখা যায়। ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি টানেন এ অভিনেত্রী। এরপর আবারও গত বছর নাটকে অভিনয় দিয়ে দর্শকের সামনে আসেন।
এমআই/এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement