আইন-আদালত

এএসপি আনিসুল হত্যায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১ জুলাই

রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডের মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

বুধবার (২৯ মে ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এদিন তার জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য দেওয়ার এক পর্যায়ে তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চান। তবে এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আগামী ২৯ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আনিসুল করিম আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার পরদিন ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

Advertisement

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন। মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় এবং আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

জেএ/জেএইচ/এমএস

Advertisement