নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা ও পারদর্শিতার সঙ্গে আচরণগত দিকও মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক মূল্যায়নের মতো এ মূল্যায়নেও সাতটি স্তর বা সূচক থাকবে। রিপোর্ট কার্ডে ‘আচরণিক ক্ষেত্র’ নামে আলাদা একটি ছক থাকবে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এ মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকরা।
Advertisement
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (২৮ মে) কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে পাস হয়েছে। এখন তা এনসিটিবির বোর্ড সভা হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় চূড়ান্ত হবে।
আরও পড়ুন
Advertisement
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ‘আচরণ’ বলতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর আচরণ, দলগত কাজে অংশগ্রহণ, আগ্রহ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি বিষয় বোঝানো হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা শিখন কার্যক্রম চলার সময় এ আচরণগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর আচরণিক নির্দেশকসমূহে শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা নির্ধারিত হবে।
আচরণিক নির্দেশকগুলোতে শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা বছরে দুই বার শিক্ষকরা ‘নৈপুণ্য অ্যাপ’এর মাধ্যমে ইনপুট দেবেন। এরমধ্যে একবার ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের সময়, আরেকবার বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সময়। এরপর শিক্ষার্থীর ১০টি বিষয়ের আচরণিক নির্দেশকের অর্জিত মাত্রা সমন্বয় করে চূড়ান্ত ট্রান্সক্রিপ্ট এবং রিপোর্ট কার্ড নৈপুণ্য অ্যাপের মাধ্যমে প্রণয়ন করা হবে।
এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। সব প্রক্রিয়া শেষে এনসিসিসি সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সেখানে চূড়ান্ত হলে সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে ফেল
Advertisement
প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে ৭০ শতাংশ কর্মদিবস উপস্থিত না হলে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে না। তবে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় এক্ষেত্রে সব বিষয়ে শিক্ষকের সম্মিলিত আলোচনায় ছাড় দিতে পারবেন প্রধান শিক্ষক।
দশম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ এসএসসিতে অংশগ্রহণের জন্যও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে তিন বা তার বেশি বিষয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থী বিকাশমান বা নিচের স্তরে থাকে, তাহলেও সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না।
তবে কোনো শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের জন্য বিবেচিত না হলেও সব শিক্ষার্থী বছর শেষে পারদর্শিতার ভিত্তিতে ট্রান্সক্রিপ্ট পাবে। একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
এএএইচ/এসআইটি/এমএস