ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালীতে তিনজন নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। এছাড়া বেড়িবাঁধ, মৎস্য, কৃষি, শিক্ষা, সড়ক ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ঝড়ের তাণ্ডব শেষ হওয়ায় দুর্গত এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
Advertisement
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সফরে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ জানান, জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। এছাড়া ছয় হাজার ৮২টি ঘর পুরোপুরি ও ৩১ হাজার ৬৯৪টি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার। মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। এছাড়া বেড়িবাঁধে ২০ কোটি, বনাঞ্চলে সাত কোটি ২৩ লাখ, তিন কোটি ৬ লাখ টাকার গভীর নলকূপ ও আট কোটি টাকার স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে।
Advertisement
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ৮২৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ছয় লাখ মানুষ আশ্রয় নেন। আশ্রয়ে ছিল এক লাখ ২০ হাজার গবাদিপশু।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসন সমন্বয় করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার কলাপাড়ায় সফরে আসবেন। সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/এএসএম
Advertisement