দেশজুড়ে

ঘূর্ণিঝড় রিমালে তছনছ কলাপাড়ার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উড়ে গেছে স্কুলের চালা। ভেঙে হেলে পড়েছে টিনের বেড়া। বসার বেঞ্চ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। তাই ক্লাস-পরীক্ষা থাকলেও ফিরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালী কলাপাড়ার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২৮ মে) উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর তীরে থাকা মেনহাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের পতাকা উড়ছে। শিক্ষকরা বসে আছেন; তবে কোনো শিক্ষার্থী নেই।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে অবস্থিত স্কুলটি। প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, আশপাশের ৭-৮ গ্রামের প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছিল এই স্কুলটিতে। এখন যে পরিস্থিতি তাতে এই প্রতিষ্ঠানটি মেরামত না করা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু সম্ভব না। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

ক্লাস করতে আসা ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ও মো. সামি বলে, ‘স্কুলে এসে দেখি স্কুল ভেঙে গেছে। বসার জায়গা নেই। তাই আমরা বাড়িতে চলে যাচ্ছি। এখন কাছাকাছি স্কুলও নেই যে, সেখানে লেখাপড়া করবো। আমরা চাই দ্রুত স্কুলটি মেরামত করা হোক।’

আব্দুল আজিজ নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘সাত আট গ্রাম মিলে একটি স্কুল। আমরা এখানে সবাই জেলে এবং খেটে খাওয়া মানুষ। এই স্কুলটি ছাড়া আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া হবে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব স্কুলটি মেরামত করার জন্য অনুরোধ করছি।’

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে কলাপাড়া উপজেলায় এখন পর্যন্ত চারটি কলেজ, ১২টি স্কুল ও ২৫টি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বেশিরভাগই টিনশেড ঘর। পুরো উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৫৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠোনের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/এএসএম