টানা তাপপ্রবাহের পর হঠাৎ বৃষ্টিতে গাছেই নষ্ট হচ্ছে লিচু। কালচে আকার ধারণ করে এসব লিচু গাছেই ফেটে যাচ্ছে। লাভের অংকতো দূরের কথা বাগান পরিচর্যার খরচই উঠবে না বলে শঙ্কা চাষিদের।
Advertisement
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এতে করণীয় কিছুই নেই। পরিপক্ব লিচুগুলো দ্রুত বাজারজাত করতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব।
সূত্র মতে, গত বছর এ অঞ্চলে ৩৫ কোটি টাকা লিচুর বাণিজ্য হয়েছিল। এবার রাজশাহীতে ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮০০ টন। দেশিয় জাতের পাশাপাশি বোম্বে, পুরবি, মজোফরাবাদ, চায়না, বেদেনাসহ বেশ কয়েক জাতের লিচু বাজারে আসার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে লন্ড ভন্ড চাষিদের স্বপ্ন।
জেলার পবা উপজেলার লিচু চাষি এন্তাজ আলী বলেন, এবার ভালো মুকুল আসলেও দীর্ঘ তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টির প্রভাবে গাছে লিচু নষ্ট হচ্ছে। কোনো কোনোটি ফেটে যাচ্ছে। ফলে পরিপক্ব লিচু এখন পচনশীল বস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
Advertisement
বাগানমালিক মো. হিরা বলেন, লিচুর ফলন দেখে শুরুতে লাভের স্বপ্ন দেখলেও এখন বাগান পরিচর্যার খরচই উঠে আসবে না। লিচু তো গাছেই শেষ হয়ে গেছে। যা খরচ করেছি এখন তাই উঠবে না। লিচুর যা অবস্থা হয়েছে এ লিচুর দামই পাবো না। মানুষ নিতেই চাইবে না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোসা. সাবিনা বেগম বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কিছুই করার নেই। তবে পরিপক্ব লিচু দ্রুত বাজারজাত করতে হবে। তবে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/এমএস
Advertisement