সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এই সময়ে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করলেও পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে রোববার (২৬ মে) একই দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এসময় আগামী ৪ জুনের মধ্যে সুরাহা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা কর্মবিরতিত পালন করছি। আগামী ৪ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো আমরা।
Advertisement
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আমাদের জন্য মাঠে নামিনি। আমরা মাঠে নেমেছি অনাগত শিক্ষকদের জন্য। সর্বজনীন পেনশন নীতিমালা চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হবে না। যত অযোগ্যরা আসবে একটি পক্ষের লাভ হবে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায় পক্ষটি। এটা স্পষ্টত ষড়যন্ত্র। যোগ্য শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। আমাদের এ জাতিকে বাঁচাতে হবে। না হলে আমরা পঙ্গু জাতিতে পরিণত হবো।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে সরকারকে দোষ দেব না। প্রশাসনের ভেতরে যারা ভালো চায় না তারা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে এটি করিয়েছে। ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি কুচক্রী মহল এর পেছনে কাজ করছে বলে আমরা মনে করি।
মুনজুরুল ইসলাম/এনআইবি/এমএস
Advertisement