দেশজুড়ে

পিরোজপুরে ৭ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত, পানিবন্দি ৭২ হাজার মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে পিরোজপুরে। এতে নদ-নদীর পানি ২-৫ ফুট পর্যন্ত বেড়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭২ হাজার মানুষ। প্রবল বাতাসে সাত হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, পিরোজপুর সদর, মঠবাড়িয়া, ইন্দুরকানী, কাউখালি, স্বরূপকাঠী, ভান্ডারিয়া ও নাজিরপুর বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং জোয়ারের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ৩-৫ ফুট উঁচু জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় এখন পর্যন্ত সাত হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও ৭২ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে। সাত হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে।

তিনি জানান, সব উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা বরাদ্দ ছিল তা দিয়ে সবাইকে দ্রুত সহায়তা করা হচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি তাদের সহায়তা আগে দেওয়া হচ্ছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

পিরোজপুর সদর এলাকার বাসিন্দা এস কে আলামিন বলেন, ‘রোববার রাত থেকে ঘরে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। রান্নার কোনো ব্যবস্থা নেই। শুকনা খাবার খেয়ে কোনোরকম বেঁচে আছি। ঘূর্ণিঝড় থামার পর কিছুটা তৃপ্তি পাচ্ছি।’

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে পিরোজপুরে সাত হাজার হেক্টর জমির সবজিসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতনেচ্ছা এশা জানান, সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে সবজির বাজারে একদফা প্রভাব পড়েছে। এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে দ্বিতীয় দফায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাজারে শাকসবজিসহ দেশি ফলের দাম বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে লোকজন নিয়ে সড়ক ও নৌপথ সচল করতে কাজ করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

এসআর/এএসএম