জাতীয়

শাহীন-সিয়ামকে ফেরাতে ইন্টারপোলে চিঠি দিলো পুলিশ

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ও তার সহযোগী সিয়ামকে ফেরাতে ইন্টারপোলে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরো (এনসিবি)।

Advertisement

হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। আর তার সহযোগী সিয়াম পালিয়ে গেছেন নেপালে।

এনসিবি জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির এনসিবির কাছে সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) পুলিশ সদরদপ্তরের ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয় ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরোর (এনসিবি) এআইজি আলী হায়দার চৌধুরী এ তথ্য জানান।

Advertisement

আরও পড়ুনএমপি আনোয়ারুলের সন্দেহভাজন ৪ খুনির আখ্যান

তিনি বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে ফিরিয়ে আনতে আবেদন করা হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দুটি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি। দুজনকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদরদপ্তরের ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরো (এনসিবি) সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দুই দেশের পুলিশ যাকে শনাক্ত করেছে, সেই আক্তারুজ্জামান শাহীন নেপাল ও দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারপোলের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দেশটির পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় নেপালে পলাতক আনার হত্যাতাণ্ডে অন্যতম সহযোগী সিয়ামকে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশকে আগে ইন্টারপোলের সহায়তায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনকে এরই মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার হলেও এখনো পলাতক চারজন।

Advertisement

আরও পড়ুনমরদেহের টুকরো পাবলিক টয়লেটে নিয়ে হস্তান্তর করা হয়

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কলকাতায় একজন ও বাংলাদেশে তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন। তারা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। তবে এখনো হত্যাকাণ্ড ও মরদেহ পাওয়ার জট খোলেনি।

টিটি/ইএ/জেআইএম