দেশজুড়ে

রিমালের প্রভাব কাটিয়ে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা শুরু

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে টানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২৮মে) সকাল থেকে বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ছয়টি জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে পণ্য খালাস করে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এম, ভি মার্কেন্টাইল-৪৪’ জাহাজ বন্দর ত্যাগ করেছে।

Advertisement

এর আগে সোমবার (২৭ মে) বিকেল থেকে বন্দরের অভ্যন্তরে জেটিতে শুরু হয় পণ্য ডেলিভারি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার মহা বিপদসংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করার পর বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এদিন বিকেল থেকে জেটি থেকে পণ্য ডেলিভারি শুরু হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙ্গর করা জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজও শুরু হয়েছে।

যেসব জাহাজে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ পতাকাবাহী ‘এমভি আম্মার’ (পাথর), পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি গ্যাস জিউস’ (গ্যাস), পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি ভি স্টার’ (সার), পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি ইয়াস স্কাই’ (ক্লিংকার) ও থাইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এমভি সুমি-২’ (গ্যাস)।

Advertisement

এর আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতি এড়াতে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর রোববার (২৬ মে) সকাল ১০টায় জেটি থেকে জাহাজগুলোকে হারবাড়িয়ায় নিরাপদ নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একই সময়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বন্দরের নিজস্ব এলার্ট-৪ জারি করে বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এলার্ট-৪ হলো ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার সর্বোচ্চ ধাপ। এটি জারি করার পর বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে বড় জাহাজগুলোকে হারবাড়িয়ায় নিরাপদ নোঙ্গরে পাঠানো হয়। এছাড়া পণ্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ (আরটিজি) সব কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলোকে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়।

আবু হোসাইন সুমন/এফএ/জেআইএম

Advertisement