ওয়ানডেতে কোনোরকম। তবে টি-টোয়েন্টিতে বলার মতো কিছুই নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সবগুলো আসর খেললেও এখনো নকআউট পর্বে খেলার স্বাদ পায়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
Advertisement
আগামী ১ জুন শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সে হিসেবে ৮টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে টিম বাংলাদেশের। এতগুলো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা বাংলাদেশের দোরগোড়ায় আরও একটি বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের প্রত্যাশা বলতে কিছু নেই। নেই কোনো আত্মবিশ্বাস।
আত্মবিশ্বাস না থাকার কারণ, টি-টোয়েন্টিতে এতদিনেও টিম পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি করতে না পারা। তবে কেন উন্নতি হচ্ছে না? যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের আগে তার একটি উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে না পারার জন্য উইকেটকে দায়ী করেছেন শান্ত। অর্থাৎ ভালো উইকেটে বেশি ক্রিকেট খেলে না বাংলাদেশ। যার ফলে উন্নতিও আসে না। যার পেছনে দায়ী বাংলাদেশের লো-স্কোরিং উইকেট।
Advertisement
বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেন, ‘প্রথমত আমাদের ভালো উইকেটে খেলতে হবে। অনেকেই এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। তবে এটাই বাস্তবতা। আমরা খুব কম ম্যাচই ভালো উইকেটে খেলি।’
বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট বর্তমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে অনেকটাই দৃষ্টিকটু। অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়েই বড় প্রশ্ন। মাত্র ১০৯.৬৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে এবং স্ট্রাইকরেট বাড়াতে হলে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। অল্প কয়েকদিন ভালো পিচে খেললেও সংকট কাটবে না। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো পিচে খেলার কথা বলেছন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে ফেলা কঠিন। আমরা যদি ভালো উইকেটে এক-দুই বছর খেলতে থাকি, তাহলে স্ট্রাইক রেটের উন্নতি হবে।’
Advertisement
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ডি-গ্রুপে। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকটা কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮ জুন ডালাসে।
এমএইচ/জিকেএস