ঘূর্ণিঝড় রিমালে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা লন্ডভন্ড ও উপড়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন উপজেলায় রোববার মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাস মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার সদরপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নে ৮ থেকে ১০টি কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও চরভদ্রাসন উপজেলার ঝাউকান্দা এলাকার দুটি ঘর ঝড়ে পড়ে গেছে।
জেলার সকল মহাসড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গাছপালা ও গাছের ডাল ভেঙে অনেক গ্রামীণ সড়কে যান চলাচলে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইনের তারের ওপর গাছের ডালপালা ভেঙে পড়া, খুঁটি হেলে পড়া, ট্রান্সমিটার বিকলসহ বিভিন্ন স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রোববার রাতের বিভিন্ন সময় থেকে বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে এখন পর্যন্ত ফরিদপুর সদর ও আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ চালু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্রমান্বয়ে ধীরগতীতে স্বাভাবিক হচ্ছে।
Advertisement
ভাঙ্গা উপজেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস হচ্ছে। এই বাতাসে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গাছপালা পড়ে গেছে। এছাড়াও প্রায় পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও সমস্যা করছে।
মধুখালী উপজেলার বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান জানান, ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি পুরো উপজেলায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।
বোয়ালমারী পৌরসভার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পৌরসভাসহ পুরো উপজেলা বিদ্যুৎবিছিন্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ বাবর বলেন, ঝড়ের পর জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঝড়ে এখন পর্যন্ত ফরিদপুরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে চরভদ্রাসনে দুটি বাড়ি ও কিছু জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়াসহ ডালপালা ভেঙে গেছে। এছাড়া কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। সেখানে অতিদ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এন কে বি নয়ন/এফএ/জিকেএস