ক্যাম্পাস

সভাপতি পদ নিয়ে জটিলতা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান পেলো সাংবাদিকতা বিভাগ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয় (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. সারোয়ার আহমেদ।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে এ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিভাগের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভাগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে মো. সারোয়ার আহমেদকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়োগ বলবৎ থাকবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, দুই মাস বিভাগীয় প্রধানের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোরশেদকে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ মে দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার (২১ মে) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

Advertisement

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পরপরই বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো চাপ অনুভূত হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এর আগে যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে যেহেতু কিছু আইনী জটিলতা রয়েছে তাই বিভাগের এ অন্তিম মূহুর্তে শিক্ষকদের পরামর্শে ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে কোনো চাপ অনুভব করছি না।

এর আগে ১০ মার্চ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা উল্লেখ থাকায় এরপর একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ। নিয়ামুন নাহার ওই পদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয়বার সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান।

এরপর তৃতীয় দফায় ১৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয় একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরে তিনিও দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বিঘ্নিত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

Advertisement

এনআইবি/এমএস