রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে প্রতিদিন ভর্তি হন আট শতাধিক রোগী। এরমধ্যে প্রতি ১০ জনের একজনই ধূমপানজনিত অসুখ নিয়ে ভর্তি হন।
Advertisement
রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে তামাকবিরোধী সেমিনারে বক্তারা এতথ্য জানান। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর। এসময় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী আখতারউজ-জামান অনলাইনে যুক্ত থেকে সেমিনারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
Advertisement
এসময় বক্তারা বলেন, ধূমপানের ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসার ছাড়াও ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধক রোগ হয়, যা ক্যানসারে চেয়েও ক্ষতিকর। এ রোগে আক্রান্ত রোগী একপর্যায়ে রাতে শুয়ে থাকতেও পারেন না, উঠে বসে থাকতে হয়। এ ধরনের অসংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসার ব্যয় ও সময় দুটোই বেশি প্রয়োজন হয়।
সেমিনারে ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপান শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তায়নে তামাক প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অপরাধ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় অগ্রাধিকার প্রদান, উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির নিয়মিত সভা আয়োজন, বিদেশের মতো খুচরা সিগারেট বিক্রি বন্ধ, তামাকের পরিবর্তে রেশম চাষে উদ্বুদ্ধ করা ও তাদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদান, তামাক বিক্রেতাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ধূমপান মুক্ত থাকা বিষয়ক প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করা এবং জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন বক্তারা।
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এএসএম
Advertisement