ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সকাল থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, বৃষ্টি অনেকের জন্য স্বস্তির হলেও তাদের জন্য দুর্ভোগ আর কষ্টের।
Advertisement
বৃষ্টিতে আয়-রোজগার কমে তাদের। বড়লোক বা ধনীদের জন্য বৃষ্টি সুখের হলেও গরিব মানুষের জন্য তা অসুখ, নিদারুণ কষ্টের, বলছেন তারা।
সোমবার (২৭ মে) দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশার কথা।
বৃষ্টিতে ভিজে কিছুটা রোজগারের আশায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন অনেকেই। বিমানবন্দর এলাকার রিকশাচালক মিল্টন বলেন, ‘রিকশা নিয়া না বাইরাইয়া (বাহির) উপায় নাই। ঘরের বাজার করতে হইবো। বাজার না করলে পোলাপান খাইবো কী? আমাগো রোদ-বৃষ্টি নাই। প্যাডেল না ঘুরাইলে কেউ ট্যাহা (টাকা) দিবো না। নিজের ইনকাম নিজেরই করতে হইবো।’
Advertisement
আরও পড়ুন
১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, ভোগান্তিতে নগরবাসীরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার রিকশাচালক রুবেল বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজে বেশিক্ষণ রিকশা চালানো যায় না। কয়েক ঘণ্টা পর জ্বর চলে আসে। এখন উপায় তো নেই। আয়-ইনকাম তো করা লাগবে। বড়লোক বৃষ্টিতে সুখ পায়, ঘরে শুয়ে থাকে। আমাগো তো আর তা না, রিকশা চালানোই লাগবো। বৃষ্টির মধ্যে রিকশা চালালে ভাড়ার আগের চাইতে ১০-২০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। সেটাও যাত্রীর থেকে চেয়ে নিতে হয়।
রাজধানীতে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে তাদের রাস্তার পাশে থাকা চায়ের দোকান, ঝুপড়ি, খাবারের দোকান খুলতে পারছেন না। নিজের রাস্তার পাশে থাকা চায়ের দোকানের সামনে কথা হয় আলামিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দিনে চা বিক্রি করে হাজার দুয়েক টাকা ইনকাম হয়। বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ দেখছি না। দোকান খোলারও পরিবেশ নেই। দিনটাই লস হয়ে গেলো।’
তবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অনেকেই তাদের চায়ের দোকান খুলেছেন। তাদেরই একজন আলমগীর বলেন, ‘ঘরে বসে থাকে লাভ কী? দোকান খুলছি যা ইনকাম হয় হোক। দুই-চারশো ইনকাম হইলেও তো আমার ইনকাম হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অনেকে ঘর থেকে বের হয় না। এ জন্য দোকানে লোকজন কম।’
Advertisement
এনএস/এসএনআর/এমএস