দেশজুড়ে

মহাবিপৎসংকেত নামলেও বৃষ্টি-বাতাসের তীব্রতা কমেনি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মহাবিপদ সংকেত কমে আসলেও উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার গাছপালা উপড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। যার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। উপকূলবাসী বলছে ঘূর্ণিঝড় সিডরকেও হার মানিয়েছে এ রিমাল।

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, সোমবার সকালে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়েছ। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে খুলনার কয়রার কাছে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রিমালের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে আংশিক ৬২০ ও সম্পূর্ণ ১৪০টি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।

Advertisement

তিনি জানান, এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমানের নির্দেশে বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস