বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভারী নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপালে তাণ্ডব চালিয়েছে ‘রিমাল’। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে মাছ ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচাঘর।
Advertisement
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ। রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, জেলায় চার লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছেন। ঝড়ের প্রভাবে পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলে লাইনে কাজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশুর বুনিয়া সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়া মোবারক হোসেন বলেন, ‘সিডর ও আইলার মতো ঘূর্ণিঝড় দেখেছি কিন্তু জলোচ্ছ্বাস এত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে পানি থৈ থৈ করছে। কোনটা রাস্তা, কোনটা পুকুর-বিল কিছুই বোঝার উপায় নেই।’
Advertisement
সন্ন্যাসী বাজারের সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়া দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘জলোচ্ছ্বাসের পানি যদি না নামে গবাদিপশু বাঁচানো যাবে না। মাছ আর কৃষিতো শেষ হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রাখা হয়েছে। তবে পানি না কমলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এসআর/এএসএম
Advertisement