ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চাঁদপুরে বাতাসের গতি ও বৃষ্টি বেড়েছে। সোমবার (২৭ মে) ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত জেলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি ৬৪ কিলোমিটার।
Advertisement
রোববার মধ্যরাত থেকে চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব নৌরুটে নৌযান চলচাল বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শহরের লঞ্চঘাটের প্রবেশ এলাকা মাদরাসা রোডে বাতাসে গাছ উল্টে সড়কে পড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোতে যানবাহন সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এছাড়া মেঘনার পশ্চিমাঞ্চলে চরাঞ্চলের সড়ক ও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া শহরের অনেক সড়কে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা দেখছেন পথচারীরা। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন শহরবাসী।
চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, ইউনিয়নের পুরোটাই চরাঞ্চল। এখানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানি স্বাভাবিকের চাইতে ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। এলাকার মাটির সড়কগুলো অধিকাংশ স্থানে ভেঙে গেছে। তবে বাড়ি ঘরের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল চৌধুরী জানান, রোববার (২৬ মে) বিকেল ৫টা থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। উভয় পাড়ে প্রায় ৬০টি গাড়ি রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব জানান, আজ ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার। যেহেতু বাতাসের গতি ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে সে কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। চাঁদপুরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে শনিবার (২৫ মে) দিনগত রাত ১২টার পর চাঁদপুর থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচ বন্ধ থাকবে। নৌ বন্দর এলাকার জেলে নৌকা, লাইটার জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
শরীফুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম
Advertisement