ক্যাম্পাস

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে এটি প্রত্যাহার ও স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষদ ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওয়ালীউল্লাহ, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি পরেশ চন্দ্র বর্মণসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষকরা বলেন, এই পেনশন স্কিমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসবে না। এতে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা যদি এতটাই ভালো হয় তাহলে সরকারি আমলাদের জন্য কেন এই স্কিম প্রয়োগ করা হচ্ছে না? যেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোতে দিন দিন শিক্ষকদের বেতনসহ সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে এই বৈষম্যমূলক নীতি বাস্তবায়ন করে শিক্ষকদের সুবিধাবঞ্চিত করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

Advertisement

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা স্পষ্টত ষড়যন্ত্র। তারা চায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় না আসে। তারা চায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যত অযোগ্য শিক্ষক আসবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ততো নিয়ন্ত্রিত করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী যখন পেনশন স্কিম চালু করেন তখন এই প্রত্যয় স্কিম ছিল না। হঠাৎ করেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এটা যুক্ত করা হয়েছে।

এসময় শিক্ষক নেতারা, আগামী ৪ জুনের মধ্যে এ নীতিমালার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

মুনজুরুল ইসলাম/এনআইবি/জিকেএস

Advertisement