মোংলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থী।
Advertisement
রোববার (২৬ মে) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (আনারস প্রতীক)।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও মোংলা উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিংড়ি প্রতীকের আবু তাহের হাওলাদারের সঙ্গে সখ্যের মাধ্যমে তার মনোনীত প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক বিশ্বজিৎ মন্ডল, আ ই শ ম বাকী বিল্লাহ, শেখ আনোয়ার হোসেন, মো. কামাল উদ্দিন, মনোজ কান্তি বিশ্বাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পুষ্পজিৎ মন্ডল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (মোংলা উপ-বিভাগ) সহকারী প্রকৌশলী মিলন ফকির, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুরুদাস বিশ্বাস, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদ। অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারাও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি প্রতীকের নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ওই সব কর্মকর্তাকে দিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন একতরফা নির্বাচনের নকশা তৈরি করছেন। মোংলা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মোংলা সরকারি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজর প্রভাষকরা সরাসরি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত। নির্বাচনে ওই কলেজ দুটির প্রভাষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব দিলে তারা পক্ষপাতমূলক দায়িত্ব পালন করবেন।’
Advertisement
ওই প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, ‘মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায় ছয় মাস আগে মোংলা থেকে বদলির আদেশপ্রাপ্ত হন। তার বদলির আদেশ স্থগিত করে নির্বাচনে কারচুপি করার পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার উপর মহলে তদবির করে তাকে মোংলায় বহাল রেখেছেন। যে কারণে নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বাত্মকভাবে আবু তাহের হাওলাদারের পক্ষপাতিত্ব করবেন এটাই স্বাভাবিক, যা তদন্তে পাওয়া যাবে।’
এ অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এ বিষয়ে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এমওএস/ইএ/জিকেএস
Advertisement