জাতীয়

বিয়ে-পিকনিকে খাদ্য অপচয় রোধে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ

হোটেল- রেস্তোরাঁ, বিয়ে, পিকনিক, সামাজিক কর্মসূচিসহ নানান অনুষ্ঠানে খাদ্য অপচয় রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মো. মকবুল হোসেন, মো. মোস্তফা আলম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, এস এম কামাল হোসেন, খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী এবং দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা।

শুরুতেই আগের বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করে ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের মান যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এবং তা যথাযথ কি না সে বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে খাদ্য অপচয় রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

Advertisement

বৈঠকে জানানো হয়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। দেশে উৎপাদিত চাল বাজারজাত করে চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গম আমদানি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাদ্য বাজারজাত করতে বিশেষ নজরদারির সুপারিশ করা হয়।

খাদ্যের অপচয় নিরুৎসাহিত করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম সম্পৃক্ত করে খাদ্য অপচয় রোধে প্রচার-প্রচারণার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিয়ে, পিকনিক, সামাজিক কর্মসূচি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি। এরই মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে খাদ্যের ভেজালসহ সব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধান এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement