যশোরে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার ২২৪৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।
Advertisement
রোববার (২৬ মে) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক জানান, জেলার সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মেডিকেল টিম। এর মধ্যে জেলা হাসপাতালসহ আট উপজেলায় আটটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ১-২ জন অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করা হয়েছে। জেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে খাবার স্যালাইনসহ জরুরি ওষুধ ও উপকরণ পর্যাপ্ত মজুত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কাপড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সমূহকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য মাঠকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় সতর্কভাবে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চলমান সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
যশোর রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান টুকুন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলা জুড়ে ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হয়েছে।
যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, জেলার ১২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৯৫৬টি মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত চাল, শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ রাখা হয়েছে।
মিলন রহমান/এনআইবি/জেআইএম
Advertisement