দেশজুড়ে

সৈকতে ছবি-সেলফিতে ব্যস্ত পর্যটক, কেউ করছেন লাইভ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব দেখতে সকাল থেকেই কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছেন শত শত পর্যটকসহ স্থানীয়রা। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করার পরও তারা সমুদ্রসৈকত থেকে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন না।

Advertisement

সরেজমিন দেখা যায়, পর্যটকদের কেউ কেউ বড় বড় ঢেউয়ের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করতে ব্যস্ত। কেউবা আবার লাইভে দেখাচ্ছেন।

আব্দুল কাইয়ুম নামের একজন পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভয় কাজ করছে। তারপরও এটা উপভোগ করতে ভালো লাগছে। বড় বড় ঢেউ দেখে সার্থক কুয়াকাটায় ভ্রমণ করা।’

স্থানীয় মোবারক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাড়ি এখানেই। রাতে পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো। এখন পরিস্থিতি দেখছি।’

Advertisement

আবহাওয়া অফিস পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্র জানায়, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। তারা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে মাইকিংসহ নিরাপত্তার সংবাদ প্রচার-প্রচারণা করেছেন।

তবে তিনি বলেন, উৎসুক পর্যটকদের কোনোভাবেই নিরাপদ স্থানে সরানো যাচ্ছে না। তারা সৈকতে ভিড় করছেন। তাদের বুঝিয়ে নিরাপদে চলে যেতে বলা হচ্ছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম

Advertisement