দেশজুড়ে

ঝালকাঠিতে নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থাতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নদী পার হচ্ছেন মানুষ।

Advertisement

ঝালকাঠি পুরাতন কলেজ, পৌরসভা, লঞ্চঘাট, রকেট ঘাট এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, একের পর এক যাত্রীবোঝাই নৌকা ছেড়ে যাচ্ছে ঘাট থেকে। ঝুঁকি নিয়ে নৌকাগুলো চললেও যাত্রীদের গায়ে নেই লাইফ জ্যাকেট। এতে হঠাৎ বাতাস ও নদীতে ঢেউ উঠলে নৌকা ডুবে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।

ইঞ্জিনচালিত নৌকাচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই বাতাসের কারণে নদীতে ঢেউ আছে। তবে যাত্রীদের প্রয়োজনেই আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করছি।

কথা হয় স্থানীয় বৃদ্ধা সাহেরন বিবির সঙ্গে। তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন না বলে জানান। সাহেরন বিবি জাগো নিউজকে বলেন, নদীর পানি বাড়ছে। আমাদের ঘরের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। কিন্তু হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, বাসার মালামাল রেখে কোথাও যাবো না। গতবারের বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে গেছিলাম, তখন ঘরটি চুরি হয়ে যায়। এ কারণে এবার আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো না। মরলে স্বামীর ঘরেই মরবো, কোথাও যাবো না।

Advertisement

ঝালকাঠি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বর্তমানে পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। মেডিকেল টিম, স্বেচ্ছাসেবক, আশ্রয়কেন্দ্র, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্থলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি জানমালের তেমন ক্ষতি হবে না।

আতিকুর রহমান/এসআর/জেআইএম

Advertisement