দেশজুড়ে

মোংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলায় দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দুপুর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ।

Advertisement

এদিকে মোংলা বন্দরে নিজস্ব এলার্ট ‘ফোর’ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রয়েছে বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ। এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে বন্দরে ছয়টি বাণিজ্যিক জাহাজ নিরাপদে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে। এরমধ্যে অনেককে আনা হয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি তাদের আনার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তারা সুন্দরবনের পাশেই বসবাস করেন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন বলেন, ইউনিয়নে ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই উপকূলবাসীকে আনা হচ্ছে। কেন্দ্রের জন্য খিচুড়িসহ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসীর ইবনে মহসীন জানান, উপকূলে সতর্কতামূলক প্রচার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

আবু হোসাইন সুমন/আরএইচ/এমএস