দেশজুড়ে

হাতিয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ, নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সবধরনের নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচাতে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রাম অঞ্চলে বেড়িবাঁধে এ মাইকিং করছেন। হাতিয়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে অসংখ্য লোকজন বসবাস করেন।

এ দিকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার পর হাতিয়াসহ উপকূলের সব জায়গায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাতিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আলাদা একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। যাতে দুর্যোগকালীন যে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করা সহজ হয়।

হাতিয়ার নলচিরা ঘাটের ইজারাদার মো. ফাহিম ও তমরদ্দি ঘাটের ইজারাদার মো. মিরাজ জানান, হাতিয়ার বিভিন্ন নৌ রুটে সি-ট্রাক, ট্রলার, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের জানমাল ও নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হাতিয়ার সঙ্গে সব নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে।

Advertisement

বশির আহমেদ নামে আরও একজন বলেন, দ্বীপের বেড়িবাঁধের বাইরে যারা থাকেন তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

জিল্লুর নামে আরেকজন বলেন, হাতিয়ার অন্যতম স্থান নিঝুম দ্বীপ মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরবেষ্ঠীত। কোনো বাঁধ না থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ দ্বীপ সব সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীস চাকমা জানান, হাতিয়াতে ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাতিয়ার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ থেকে করা কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪৬৬ আশ্রয়কেন্দ্র, ১০২টি মেডিকেল টিম ও আট হাজার ৩৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও চাল মজুদ রাখা আছে। সেই সঙ্গে জরুরি সহায়তার জন্য ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা, ৩১৯ মেট্রিক টন চাল, ৬৬৩ প্যাকেট শিশু খাদ্য ও আট হাজার ২২০ কেজি গোখাদ্য মজুত রয়েছে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/এমএস