দেশজুড়ে

কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সব আবাসিক হোটেল-মোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয় ঝুঁকিপূর্ণ সাধারণ মানুষের জন্য এসব খুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এমএ মোতালেব শরীফ জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, উপকূলীয় এলাকায় প্রতি বছর কমবেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

এদিকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আবহাওয়া অফিস পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্র জানায়, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীসহ অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটার আশপাশে যে হোটেলগুলো রয়েছে সেগুলো কর্তৃপক্ষ আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে কুয়াকাটায় যে পর্যটক রয়েছে তাদেরকে কোনো ভাবেই সৈকতে নামতে দেয়া হচ্ছে না।

Advertisement

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস