ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় খুলনায় বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে উপকূলের তিন লাখ ১৫ হাজার মানুষের সহায়তায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ তিনটি মুজিব কিল্লা প্রস্তত রয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৫ মে) সকালে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যেককে নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে জরুরি প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তত রাখা হয়েছে। প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড।
Advertisement
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে উপকূলের ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব শেল্টারে তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২৮০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এনআইবি/এএসএম